শহর ছেড়ে ছুটছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিষয়ভিত্তিক ডকুমেন্টারির কাজে চষে বেড়াতে হয় বাংলার মাঠে-প্রান্তরে। কাজ সেরে ঢাকায় ফিরেও ছুটি নেই। রুটিনমাফিক টেলিভিশন শো ও করপোরেট ইভেন্ট সঞ্চালনার কাজ পড়ে যায়। যেন এক চঞ্চলা হরিণীর মতো ছুটছেন এ প্রজন্মের আলোচিত সঞ্চালক সাদিয়া রশ্নি সূচনা। একাধারে কাজ করছেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনে ও ইউএনডিপিতে। শত ব্যস্ততার মাঝেও টুকটাক বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন এ তন্বী তরুণী। ডিসেম্বরের শুরুতে বিকাশ ও প্রাণ আরএফএলসহ একগুচ্ছ বিজ্ঞাপনের শুটিং শেষ করে ফেলেছেন সূচনা।
সাম্প্রতিক কাজের ফিরিস্তি জানিয়ে রশ্নি দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ছয়টি নতুন ওভিসি ও দুটি নতুন টিভিসি নিয়ে শিগগিরই হাজির হচ্ছি। এসব নিয়ে অনেক ব্যস্ততা যাচ্ছে। আমি সাধারণত বেছে বেছে কাজ করি। সময়ও মেলে না। তারপরেও পাঁচটি বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ করে ফেলেছি। এটি আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়। কারণ, অভিনয় ব্যাপারটা বেশ কঠিন। অনেক দক্ষ হতে হয়। যেহেতু অতটা দক্ষ নই তাই মনে হয় কেমনে শুটিং করে ফেললাম।’
ব্যস্ততার মূল কাজ উপস্থাপনা নিয়ে সূচনার ক্যারিয়ারে যুক্ত হচ্ছে নতুন পালক। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ইভেন্টে পছন্দের তালিকায় থাকছেন তিনি। বিভিন্ন দূতাবাসের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার ভার সামলাচ্ছেন রশ্নি। নিয়মিত দেখা যায় ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সঞ্চালনায়। আগামী আসরেও থাকতে পারেন সূচনা।
এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘করপোরেট শো পরিচালনা করতে পারলে উপস্থাপনার দক্ষতা নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়। যেহেতু স্কুলজীবন থেকে উপস্থাপনা করি, তাই মঞ্চেই আমি বেশি সাবলীল। লাইভ অডিয়েন্স আমাকে বেশি টানে। আবার করপোরেটের ফরমাল ভাইবটাও ভালো মানিয়ে নিতে পারি।’
সবশেষে সূচনা বললেন, ‘উপস্থাপনা, তৃণমূলে ফিল্ড ভিজিট; করপোরেট ইভেন্ট নিয়েই ব্যস্ততা বেশি। আর মানসম্মত কাজের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিতেই আমার স্বাচ্ছন্দ্য।’

