বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টির ফলে জেলার ৯টি উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার। পাশাপাশি ভেসে গেছে শত শত চিংড়ি ঘের ও মাছের পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো হেক্টর আউশ ধান ও সবজির জমি।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণে জেলার রামপাল, মোংলা ও বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৯১৫টি চিংড়ি ঘের ও ১৭৭টি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ২ লাখ চিংড়ি মাছ, ১৩ লাখ চিংড়ি পোনা এবং অন্তত ৫ টন সাদা মাছ ভেসে গেছে। প্রাথমিকভাবে এতে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার ঘের ও পুকুরও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
এদিকে, টানা বৃষ্টির ফলে জেলার ১ হাজার ৩৭৬ হেক্টর জমির ধান ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে আউশ ধানের জমি রয়েছে ১ হাজার ৭৪ হেক্টর, বীজতলা ২৫৩ হেক্টর, পান ৯ হেক্টর এবং মরিচ, কলা, আখসহ নানা ধরনের সবজির জমি ৪০ হেক্টর।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘একটানা বৃষ্টিপাতে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে, ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।’
জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান জানান, বৃষ্টিজনিত দুর্ভোগ নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার ৯টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮১ দশমিক ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
আপনার মতামত লিখুন :