ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর সামছুদ্দিন সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নিঝুম খাতুন (১৫) নিখোঁজ হওয়ার চার মাস পার হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিঝুমের পরিবার দিন গুনছে উদ্বেগ আর হতাশায়, তাদের মেয়ে বেঁচে আছে না কি মর্মান্তিক কিছু ঘটে গেছে, তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। পুলিশ বলছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।
জানা যায়, উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের হয়রত আলী ও তাসলিমা খাতুন দম্পতির মেয়ে নিঝুম খাতুন গত ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নিঝুমের মা মোছা. তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন।
মামলার অন্যতম আসামি, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রাখালভোগা গ্রামের মো. কামাল ডাক্তারের ছেলে জিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাহাবুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
অন্যদিকে, নিঝুমের মা তাসলিমা খাতুন অভিযোগ করেন, ‘আমি র্যাবসহ প্রশাসনের অনেক জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি। আমরা জানি না, সে আদৌ জীবিত আছে কি না।’
তিনি আরও বলেন, মামলার একজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের নির্লিপ্ততায় তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশ। নিঝুমের পরিবার এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
চার মাস ধরে নিঝুমের পরিবার অপেক্ষা করছে, তাদের মেয়ে ফিরে আসবে, তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই আশাও ক্রমে মলিন হয়ে পড়ছে।