বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০১:৫৬ এএম

শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর ভিডিও দেখান প্রধান শিক্ষক

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০১:৫৬ এএম

শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর ভিডিও  দেখান প্রধান শিক্ষক

ঢাকার ধামরাইয়ের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে কুশুরা ইউনিয়নের টোপের বাড়ি মিয়াপাড়া এলাকায় ১৭১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষকের এমন ঘটনায় ওই এলাকায় বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। 

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কান্টাহাটি এলাকার নাছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে ১৭১নং টোপের বাড়ি মিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।  
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ভিডিও দেখায়। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার দাদি, পাশের বাড়ির এক চাচা ও চাচির কাছে বলে। এরপর ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। 

এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে জরিমানা দিয়েছেন। জানা যায়, ২০০৩ সালে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের চক মহিশাষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটান। এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ওই এলাকার মেম্বার ও স্থানীয় কয়েক জনের মাধ্যমে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে বিষয়টি সে সময় ধামাচাপা দেন। এ ছাড়া ২০১১ সালে বৈন্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটনানোর দায়ে তাকে বদলি করে ১৭১ নম্বর টোপের বাড়ি মিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। এখানে এসেও একই ঘটনা ঘটানোর কারণে এই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর এক চাচা বলেন, ‘এ ঘটনার পরে আমি ওরে (ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী) জিজ্ঞেস করেছি কী হয়েছে। ও শুধু বলল, স্যার আমাকে আজেবাজে (আপত্তিকর) ভিডিও দেখাইছে। আমার স্ত্রীর কাছেও একই কথা বলেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।’  

মিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রিপন হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কেউ এমন কিছু বলতে পারেনি। তবে ছাত্রীর দাদি আমাকে বলেছে, আমার নাতিনের প্রতি শহিদুল স্যারের আকর্ষণ রয়েছে।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা স্কুলে আসেন। স্কুলে কথা বলবোনে।’ এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য ওই শিক্ষক বিভিন্ন লোকজন দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। 
এদিকে ধামরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে, সমিতির সভাপতি মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার কমিটির কেউ আমাকে কিছু বলে নাই।’ 

ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ধামরাই উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা লেয়াকত বলেন, ‘আমি এ এলাকায় আসছি, একটু আগেই। তদন্ত শেষে আপনাকে জানাতে পারব।’ তবে আগেই নিউজ না করার জন্য বলেন তিনি। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাখখারুল ইসলাম মিজান বলেন, ‘বিষয়টি ভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা লিয়াকত আলীকে দায়িত্ব দিয়েছি, সত্যতা যাচাই করে রিপোর্ট দিতে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!