ঢাকা রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

যশোরে ১ হাজার ২৯৩ স্কুলের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন নষ্ট

বিল্লাল হোসেন, যশোর
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৫:৫৭ এএম

যশোরে ১ হাজার ২৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে অ্যানালগ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের খাতায় হাজিরা নেওয়া হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেশিনগুলো সচলের উদ্যোগ নিচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে যশোর জেলার ১ হাজার ২৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন হয়। এতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অর্থায়ন করে। এরপর চালু করা হয় মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার জানান, বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের এক বছর পর স্কিন ঘোলা হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তখন মেশিন আর কাজ করত না। এ জন্য খুলে রাখা হয়েছে।

ইনস্টিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা শিরিন সুলতানা জানান, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের দেড় বছর পরে আঙ্গুলের ছাপ নিতো না। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খাতায় শিক্ষার্থীদের হাজিরা নেওয়া হচ্ছে। একই কথা বলেন উপশহর শহিদ স্মরণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদ হোসেন বাবু।

যশোর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সংস্কার বা নতুন করে স্থাপনের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে থেকে কোনো বরাদ্দ আসেনি।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালুর বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।