ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুই দিনের ব্যবধানে কীর্তনখোলায় অজ্ঞাত দুই মরদেহ উদ্ধার

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৭:০৪ এএম
বরিশাল

বরিশাল শহরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে দুই দিনের ব্যবধানে দুটি মরদেহ পাওয়া গেছে। নৌপুলিশ সর্বশেষ গত শনিবার রাতে নৌবন্দর এলাকা থেকে আনুমানিক ৩২ বছর বয়সি যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী ডিসিঘাট এলাকা থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরপর দুটি মরদেহ কীর্তনখোলা থেকে উদ্ধার হওয়ার ঘটনা জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও তুলোধুনো করা হয়।

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি মরদেহ ভেসে আসা নিয়ে কীর্তনখোলা নদীতীরের বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন বেশি। অবশ্য এনিয়ে তাদের কৌতূহলেরও শেষ নেই। পরপর দুটি মরদেহ কোথা থেকে এলো এবং মৃত্যুর কারণ কী, তা নিয়ে রয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন।

ডিসিঘাটসংলগ্ন ভাটারখাল কলোনির বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার জানান, কীর্তনখোলায় কাছাকাছি স্থানে দুই দিনে দুটি মরদেহ ভেসে ওঠার নজির নেই। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির মরদেহ মাঝ নদীতে ভাসতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই নদীর দুই তীরে শত শত উৎসুক মানুষের ভিড় জমান। কিছুক্ষণ পরে নৌপুলিশ এসে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর ঠিক দুই দিন পর শনিবার রাত ১১টার দিকে নৌবন্দরে আরেক ব্যক্তির মরদেহ ভেসে ওঠার খবর পাওয়া যায়। পরপর দুটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নদী তীরবর্তী মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

মরদেহ উদ্ধার করার পরে নাম-পরিচয় এবং মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে না পারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অস্বস্তিকর বটে। এ কথা স্বীকার করে নৌপুলিশের এসআই পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার মরদেহটি কার এবং কীভাবে এসেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি মৃত্যুর কারণও নিশ্চিত বলা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে শনিবার রাতে নতুন করে কীর্তনখোলা নদীতে আরেকটি মরদেহ ভেসে আসায় বিপদ আরও বেড়েছে। এখন দুটি মরদেহের পরিচয় খুঁজতে হচ্ছে, সঙ্গে মৃত্যুর কারণও।

পরপর অজ্ঞাত দুটি মরদেহ ভেসে আসা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, তা সদর নৌ থানার ওসি অসীম কুমার সিকদারও স্বীকার করেছেন। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, দুটি মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ছাড়া দুই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে চেয়ে বরিশাল নৌপুলিশ দেশের সব থানায় মেসেজও দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নৌপুলিশের পাশাপাশি কোতোয়ালি থানার পুলিশও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, বিশেষ করে নিহত দুই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হতে। তাদের স্বজনদের খোঁজ পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণও জানা সহজ হয়ে যাবে।’