জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ৮ বছর বয়সি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মসজিদের ইমামকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে আক্কেলপুর পৌরসভা এলাকায় একটি মসজিদে ইমামের রুমে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১১টার দিকে তাকে করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম, মেহাদী হাসান (৩০)। তিনি উপজেলার শান্তনগর সরদারপাড়া মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং আক্কেলপুর পৌরসভার একটি মসজিদের ইমাম। সেই সঙ্গে মসজিদের পাশে তালিমুল কোরআন নূরানি হাফেজিয়া ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। গত দুই বছর ধরে তিনি মসজিদ ইমামতি এবং মাদ্রাসাটি নিজে পরিচালনা করে আসছেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, শিশুটি সকালে স্থানীয় মসজিদে কোরআন (মক্তব) পড়তে যায়। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকাল ৮টায় ওই মসজিদে মক্তবে আসে ভুক্তভোগী শিশুসহ অন্য সহপাঠীরা। পাঠদান শেষে কৌশলে অন্য শিশুদের মক্তব থেকে বের করে দিয়ে ভুক্তভোগীকে ইমামের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে মো. মেহেদী হাসান। এ সময় শিশুটি ভয় পেলে তার হাতে ১০ টাকা দিয়ে ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে অভিযুক্ত। পরে ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে মাকে ঘটনা খুলে বলে। এ সময় শিশুর মা এলাকার লোকজন নিয়ে মসজিদের পাশে মাদ্রাসার একটি কক্ষে অভিযুক্তকে তালাবদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আক্কেলপুর থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে সকালে আরবি পড়তে আসে। আরবি পড়া শেষে আমার মেয়েকে হুজুর তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ব্যর্থ হয়ে ১০ টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে ঘটনা কাউকে বলতে মানাও করে।’
স্থানীয় লিটন আহমেদ বলেন, এ ধরনের ইমামরা শিক্ষক নয়, তারা অমানুষ। এদের কঠোর শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত ইমাম মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। আমি পাঠদান দিয়ে ছেড়ে দেই। পরে ওই শিশুর মা-বাবা এসে জুতা তুলে মারমুখী হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, আমি নাকি তাদের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছি। এ ঘটনার কোনো ভিত্তি নেই। আমি এ কাজ করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
আক্কেলপুর থানার ওসি মো. শফিকুর ইসলাম বলেন, সকালে খবর আসে পৌর এলাকার একটি মসজিদের ইমামকে এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ইমামকে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।