কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের রামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী বড়চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুলিয়ারচর থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে বড়চর মোহাম্মদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধে সহকর্মী বিলকিস আক্তার সোমার সঙ্গে মিতালি চক্রবর্তীর বাগবিত-া হয়। পরে সোমা তার স্বামী পার্শ্ববর্তী রামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এনামুল হককে খবর দেয়। পরে বিলকিস আক্তার ও তার স্বামী বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে কোনো রকম কথাবার্তা না জিজ্ঞেস করেই মিতালি চক্রবর্তীকে মারধরসহ শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় ঘটনাস্থলে মিতালি চক্রবর্তীর স্বামী শশাংক গোস্বামী উপস্থিত হলে সেও মারধরের শিকার হোন। খবর পেয়ে দায়িত্বরত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা এবং স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার মীমাংসা করেন। কিন্তু এরপরও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি পাচ্ছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বাদী হয়ে সহকর্মী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. এনামুল হক বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে তার সহকর্মীর বাগবিত-ার ঘটনা ঘটেছে। পরে এ ঘটনার মীমাংসা হয়েছে। সহকারী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তী আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
কুলিয়ারচর থানা ওসি (তদন্ত) খোকন চন্দ্র সরকার জানান, আজ (গতকাল) দুপুরে সহকারী শিক্ষিকা মিতালি চক্রবর্তী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।