চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার ঠাকুরদীঘি এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে আহত এবং নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
নিহতরা হলেন, ঢাকার তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের মৃত এমদাদুল হকের ছেলে গোলাম সারোয়ার (৪২), তার তিন বছরের কন্যা শিশু মুসকান ও ফার্নিচারকর্মী মো. সাগর (৩০)। আহতরা হলেন, নিহত গোলাম সরওয়ারের স্ত্রী উম্মে সালমা (৩২), ছেলে আহমেদ ইমতিয়াজ (৯) ও গাড়িচালক গিয়াস উদ্দিন (৩০)। গিয়াস উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত এবং আহতরা সবাই রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে নিহত গোলাম সরওয়ার পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তাদের চট্টগ্রামের ফয়েসলেক ও কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল। পথিমধ্যে চট্টগ্রামের ঠাকুরদিঘি বাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহন করা প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-ঘ, ১৩-৭৩৪৮) দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের (ঢাকা মেট্রো উ, ১১-৭১৬৮) পেছনে ধাক্কা দিলে প্রাইভেট কারের সামনের অংশ কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে ঢুকে যায়। এতে কারটি দুমড়েমুচড়ে যায়৷ ঘটনাস্থলে বাবা-মেয়ে নিহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে ফার্নিচারকর্মী সাগরের মৃত্যু হয়।
বাকি দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জারারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক বোরহান উদ্দিন বলেন, গতকাল সকালে চট্টগ্রামমুখী প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঠাকুরদিঘি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থল শিশুসহ দুজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে হাসপাতালের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন