*** ভৈরব নদীতে পানি বৃদ্ধি
*** পানির ¯্রােতে ভেঙে গেছে একটি ব্রিজ
*** তলিয়ে যাচ্ছে নদীর আশেপাশে নি¤œাঞ্চলের জমির ফসল
প্রবল বৃষ্টিপাতে জীবননগরের সিংনগর বাঁওড়ের বাঁধ ভেঙ্গে ভৈরব নদীতে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত সোমবার বিকাল থেকে তীব্র স্রোত দেখা দিলে মনোহরপুর গ্রামের ইলিশের জোল মাঠের নিকট নদীর একটি ব্রিজও ভেঙে পড়ে। স্রোতে ভেসে যাচ্ছে কৃষকের পাটজাগ। তলিয়ে যাচ্ছে নদীর আশেপাশে নি¤œাঞ্চলের জমির ফসল। হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সন্তোসপুর-মনোহরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদীতে হঠাৎ করে পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। পানির প্রবল স্রোত দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় জমাচ্ছে শতশত মানুষ। অনেকেই আবার স্রোতের মুখে মাছ ধরছেন। পানিতে ভেসে যাচ্ছে কৃষকের পাটজাগ। নিচু অঞ্চলের ফসলগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, হঠাৎ করে পানির প্রবল স্রোত ও উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, এ বছরে অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু ভৈরব নদীর পানির এতো স্রোত দেখা যায়নি। কিন্তু সোমবার বিকাল থেকে হঠাৎ করে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কৃষকদের ফসলের অনেক ক্ষতি হবে। নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সন্তোষপুর গ্রামের সজিব হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরেও নদীর পানি স্বাভাবিক ছিলো। বিকাল থেকে পানি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়ে তীব্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সিংনগর বাঁওড়ের বাঁধ ভেঙ্গে পানি আসায় হঠাৎ করে ভৈরব নদীতে পানি ঢুকে পড়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি থাকলে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে। প্লাবিত হবে যাবে নিচু এলাকা। বাওড় কতৃপক্ষের উচিত দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা।
সিংনগর বাঁওড় মৎস্যচাষী সমিতির সভাপতি ও আহম্মদ আলী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে বাঁওড়ে পানি বেড়ে একটি ছোট্ট সুইচগেট ভেঙে প্রবল স্রোতে পানি বের হতে শুরু করে। এতে পানির সঙ্গে প্রচুর মাছ বের হয়ে গেছে। পুনরায় সুইচগেট রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়েছে। সবমিলিয়ে ১০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-আমীন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক মহোদয় ঘটনাটি অবগত আছেন। আতঙ্কিত হবার কিছু নেই, সুইচগেটটি কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃপক্ষের হওয়ায় আমরা তাদের দ্রুত এটি পুননির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি। বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।