রুয়ান্ডার সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম-২৩’র হামলায় কঙ্গোর দক্ষিণ কিভু প্রদেশে ৪০০’র বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এম ২৩ দক্ষিণ কিভুর কৌশলগত শহর উভিরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এম-২৩’র হামলায় কঙ্গোর প্রায় দুই লাখ বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত করেছে। এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে কঙ্গো ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্টদের স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছে। চুক্তিটিতে এম-২৩ কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর গোষ্ঠীটি বর্তমানে কঙ্গোর সরকারের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করছে। উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কিভু সরকারের মুখপাত্র বলেন, ‘উভিরা ও প্রাদেশিক রাজধানী বুকাভুর মধ্যবর্তী এলাকাগুলোতে গুলিবর্ষণ, গ্রেনেড ও বোমা বিস্ফোরণে ৪১৩ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগ-ই মধ্যে নারী ও শিশু।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রুয়ান্ডার বিশেষ বাহিনী এবং তাদের বিদেশি ভাড়াটে সৈন্যদের নিয়ে গঠিত এম২৩ যুদ্ধবিরতি এবং ওয়াশিংটন ও দোহার চুক্তি স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করছে। তারা প্রতিশ্রুতিগুলোকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছে।’
এম ২৩ জানায়, বুধবার বিকেলে তারা কৌশলগত শহর উভিরার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে পরিচালিত দ্রুতগতির অভিযানের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে গোষ্ঠীটি।
কঙ্গো সরকারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরাও এম২৩-কে রুয়ান্ডার সমর্থনপুষ্ট বলে অভিযোগ করে এসেছে। ২০২১ সালে গোষ্ঠীটির সদস্য সংখ্যা ছিল কয়েক শ। বর্তমানে জাতিসংঘের হিসাবে গোষ্ঠীটির যোদ্ধা সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার।
রুয়ান্ডা সীমান্তবর্তী খনিজসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলে শতাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ-দখলের চেষ্টা করছে। এসব গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এম-২৩ সবচেয়ে প্রভাবশালী। চলমান সংঘাতের ফলে কঙ্গোয় বিশ্বের অন্যতম গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।



