ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে কমছে চালের দাম

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

দেশের অন্যতম ধান-চাল উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁয় চালের দাম হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বিভিন্ন প্রকারের চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। সেখানে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। ব্যবসায়ীদের মতে, সরকারের চাল আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ‘পারিজা’ জাতের চাল বাজারে আসার ফলে এই দাম হ্রাস ঘটেছে। যদিও ধানের দাম স্থিতিশীল বা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, তবু চালের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ছেন পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা।

নওগাঁ শহরের আড়তদারপট্টি এলাকার পাইকারি বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে চালের দাম, জিরাশাইল ৬৮-৭০ টাকা/কেজি কাটারিভোগ ৭৫-৭৬ টাকা, শুভলতা ৬৩-৬৪ টাকা, ব্রি-২৮: ৫৫-৫৬ টাকা, স্বর্ণা-৫: ৫১-৫২ টাকা, মোয়াজ্জেম ও পারিজা ৫০-৫১ টাকা। সপ্তাহ খানেক আগেও এসব চাল বিক্রি হচ্ছিল জিরাশাইল ৭০-৭২ টাকা, কাটারিভোগ ৭৭-৭৮ টাকা, শুভলতা ৬৫-৬৬ টাকা , ব্রি-২৮: ৫৭-৫৮ টাকা, স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫৩-৫৪ টাকা, মোয়াজ্জেম ও পারিজা ৫২-৫৩ টাকা।

খুচরা বাজারেও এর প্রভাব স্পষ্ট। নওগাঁ পৌর এলাকার ক্ষুদ্র চাল বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে জিরাশাইল ৭০-৭২ টাকা, কাটারিভোগ ৭৫-৭৭ টাকা, শুভলতা ৬৪-৬৫ টাকা, ব্রি-২৮ জাতের চাল ৬২-৬৪ টাকা, স্বর্ণা-৫: ৫৬-৫৭ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এসব চালের খুচরা মূল্য ছিল তুলনামূলক বেশি জিরাশাইল ৭৯-৮০ টাকা, কাটারিভোগ ৭৮-৭৯ টাকা, শুভলতা ৬৬-৬৮ টাকা ইত্যাদি।

মেসার্স মালসন রাইস সেন্টারের মালিক মানিক প্রামাণিক জানান, গত ৭-৮ দিন ধরে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা কমেছে। বর্তমানে ৫০ কেজির চালের বস্তা আগের তুলনায় ৮০-১০০ টাকা কম দামে কিনছি।

যেমন কাটারিভোগের বস্তা এক সপ্তাহ আগে কিনেছি ৩৮০০-৪০০০ টাকায়, এখন সেটা ৩৬০০-৩৭০০ টাকায় পাচ্ছি। তবে দামের পতনে বাজারে চাহিদাও কমেছে, বেচাবিক্রিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

সততা রাইস এজেন্সির পাইকারি ব্যবসায়ী সুকুমার ব্রহ্ম বলেন, সরকারি আমদানির পাশাপাশি স্থানীয় ‘পারিজা’ চাল বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমেছে। নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে আমদানিকৃত চাল বাজারে প্রবেশ করছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কৃষক, মিল মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই খাদ্য বিভাগের উচিত চাল আমদানির ওপর সঠিক নজরদারি বজায় রাখা।