২০ বছর পর বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৫ সালে হয়েছে ফেডারেশনটির এজিএম। ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এজিএমে মূলত গঠনতন্ত্রের পরিবর্তনই প্রধান আলোচ্য বিষয়। সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীনের বক্তব্য, ‘২০০৫ সালের পর সাঁতারে এজিএম হয়নি। বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশন থেকে আমাদের ওপর এজিএমের একটি নির্দেশনা অনেক দিন ধরেই রয়েছে। গঠনতন্ত্রেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করেই আমরা এজিএম করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাহী কমিটিতে একই পদে দুবারের বেশি নয়। ২৫ বছরের কম এবং ৭০ বছরের বেশি কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। এখন ১৫টি ক্লাব কাউন্সিলরশিপ পায়। সাঁতারের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য রেজাল্টের ভিত্তিতে ২৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খসড়া গঠনতন্ত্র কাউন্সিলরদের পাঠানো হয়েছে।’ সাঁতার ফেডারেশনের প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র কমিটিতে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ছাড়া নারীদের আলাদা কাউন্সিলর ও নির্বাহী কমিটিতে বিশেষভাবে নারীদের কোনো সংখ্যা নেই। এ নিয়ে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাসের মন্তব্য, ‘আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের গাইডলাইন অনুযায়ী যেটা আমাদের জন্য প্রযোজ্য এবং বাস্তবসম্মত সেগুলোই নিয়েছি।
এজিএমে গঠনতন্ত্র পাস হওয়ার পর অবশ্যই সেটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইটিস ও এনএসসিতে পাঠানো হবে।’ আদর্শ গঠনতন্ত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের পাঁচজন কাউন্সিলরের মধ্যে অন্তত দুজন নারী রাখার প্রস্তাব রেখেছেন। সাঁতার ফেডারেশনে দেওয়া পাঁচজনের তালিকায় অবশ্য সেটার প্রতিফলন নেই। সাঁতার ফেডারেশনের এজিএমে জেলা-বিভাগের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য, ‘জেলা বিভাগে কাউন্সিলর হিসেবে অ্যাডহক কমিটি থেকেই এসেছে সিংহভাগ। অল্প কয়েকজন এসেছে জেলা বিভাগের সাধারণ পরিষদ থেকে। আমাদের গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্ট রয়েছে, জেলা-বিভাগে কার্যনির্বাহী কমিটি অথবা সাধারণ পরিষদ থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন করতে হবে।
আমরা এই নির্দেশনা দিয়েই চিঠি দিয়েছি এবং সেটা সবাই অনুসরণও করেছে।’ গঠনতন্ত্র আলোচনা-অনুমোদন ছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করা হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের হাজি মুহসীনের অডিটরিয়ামে সাঁতার ফেডারেশনের এজিএম হবে। এজিএম উপলক্ষে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর ক্রীড়াপল্লিতে কাউন্সিলরদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছে ফেডারেশন।