ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দামে ধরাছোঁয়ার বাইরে জাতীয় মাছ ইলিশ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০১:৫৯ এএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। গতকাল বুধবার সকালে কাকড়াবুনিয়া বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার টাকা।

৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছোট আকারের ইলিশ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, ইলিশের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে, বিক্রেতারা খেয়ালখুশি মতো দাম হাঁকাচ্ছেন। সত্তরোর্ধ্ব মো. সোবাহান মল্লিক বলেন, ‘আগে ঘরে ঘরে ইলিশ থাকত, এখন দাম এত বেশি যে সারা বছরেও এক টুকরো ইলিশ জোটে না।’

আরেক ক্রেতা নাসির উদ্দিন জানান, ‘ইলিশ জাতীয় মাছ। তাই এর দামের বিষয়ে সরকারি নীতিমালা থাকা জরুরি। যাতে ধনী-গরিব সবাই ন্যায্যমূল্যে ইলিশ খেতে পারে।’

অন্যদিকে মাছ বিক্রেতারা বলছেন, সাগরে মাছ ধরা কমে যাওয়ায় সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। আবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেশি।

ভয়াং বাজারের আড়তদার মো. আফজাল হোসেন জানান, ‘সাগরে মাছ এলে দাম কম থাকে। এখন নদীর মাছের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। রপ্তানির কারণেও সরবরাহ কম।’

জেলেরা বলছেন, অনেকেই মহাজনের কাছ থেকে দাদন নেওয়ায় লট হিসেবে আড়তদার ও পাইকারদের নির্ধারিত দামে ইলিশ দিতে হয়। ফলে ছোটখাটো বিক্রেতারাও উচ্চ দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন।

উপজেলার ভয়াং, দেউলী, ভিকাখালী, পায়রা গঞ্জ ফেরিঘাট, সুবিদখালী বন্দর বাজার, চৈতা বাজার, কাঠালতলী, সিংবাড়ি ও চরখালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও অধিকাংশই দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন।