*** মায়ের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে তাসলিমা খানম (১৫) ও কাওসার (৮) নামের দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কালিয়া উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের দাউদ মীরের বাড়ির পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমান। মৃত দুইজন উপজেলার নড়াগাতী থানাধীন শিবানন্দপুর গ্রামের কৃষক আজিবার শেখের সন্তান। তাসলিমা বড়দিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ও কাওসার শিবানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একজন তাসলিমা ও তার ভাই কাওসারকে পার্শ্ববর্তী দাউদ মীরের বাড়ির পেছনের পুকুরের দিকে যেতে দেখেন। দীর্ঘ সময় তারা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন। পরে স্থানীয়রা পুকুরপাড়ে তাসলিমার ওড়না দেখে পুকুরেই খোঁজ করেন। ওই পুকুর থেকে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের বাবা আজিবার শেখ দাবি করেন, তার ছেলে মেয়ে কেউ সাঁতার জানত না, পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গিয়েছে। তবে তাদের মা বেবি বেগমের দাবি বলেন, আমার মেয়ে সাঁতার কাটতে জানে, তারা পুকুরে ডুবে মরতে পারে না। আমার স্বামী ও তার ভাইয়েরা মারধর করে আমাকে ৮ থেকে ৯ মাস আগে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে আমার স্বামী আবার দ্বিতীয় বিয়ে করছে। পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তানদের হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে এখন দাবি করেছে ডুবে মারা গেছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।