*** হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৮ একর ফসল
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় অব্যাহত রয়েছে বন্য হাতির তা-ব। গত দুই দিনে উপজেলার পশ্চিম সমশ্চুড়া এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে অন্তত ৮ একর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১৭ জন কৃষক দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে ভারতের মেঘালয় সীমান্তবর্তী পাহাড় থেকে নামা হাতির একটি দল টানা দুই রাত ধরে কৃষকদের আবাদি জমিতে হানা দেয়। হাতির দল ধানের খেত মাড়িয়ে ফেলে। এতে অন্তত প্রায় ৮ একর ফসল নষ্ট হয়।
বন্য হাতির হামলায় পশ্চিম সমশ্চুড়া এলাকার কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাদের মধ্যে আক্কেল আলী ৪০ শতক, সাইদ মিয়া ৪০ শতক, মোশাররফ হোসেন ৯০ শতক, শফিকুল ইসলাম ২৫ শতক, বধু মিয়া ২৫ শতক, অনিল কোচ ১০০ শতক, রিপন মিয়া ২৫ শতক, মামুন মিয়া ২৫ শতক, সেলিম মিয়া ৪০ শতক, আব্দুল মজিদ ২৫ শতক, আব্দুল মতিন ৬০ শতক, বিল্লাল হোসেন ১০০ শতক, ইজ্জত আলী ২৫ শতক, বাবুল মিয়া ৮০ শতক, হিটলার উদ্দিন ১০০ শতক, আয়ুব আলী ১৫ শতক ও আব্দুল হক ২৫ শতক জমির ফসল হারিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আয়ুব আলী বলেন, ফসল রক্ষায় গ্রামের লোকজন মিলে সারা রাত পাহারা দিতে হচ্ছে। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আমার এক একর জমির ফসল শেষ হয়ে গেছে।
ওই গ্রামের ওমর ফারুক বলেন, ৪০-৪৫টি হাতির একটি পাল এসেছে। তারা আগের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছে। গত রাতে ভয়ে নারী-শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। সরকারি সহায়তা না পেলে আমাদের দিনরাত আতঙ্কে কাটাতে হবে।
এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সভাপতি আরফান আলী বলেন, দিনে হাতির দল জঙ্গলে থাকে, সন্ধ্যার আগে তারা খাদ্যের সন্ধানে গ্রামে আসে। তবে কেউ যেন হাতিকে আঘাত না করে, তা নিশ্চিত করতে আমাদের টিম সতর্ক রয়েছে।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের সমশ্চুড়া বিট কর্মকর্তা মো. কাওসার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ৩০-৩৫টি বন্যহাতি জঙ্গলে অবস্থান করছে। তারা খাদ্যের সন্ধানে পাহাড়ের ঢালে নেমে কৃষকদের ফসলে হানা দিয়েছে। এতে ২০-২৫ জন কৃষকের প্রায় ৮ একর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিপূরণের জন্য ক্ষতিগ্রস্তরা বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে পারেন।