*** বেপরোয়া চলাচলে নিত্যদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের ফলে শহরটি ক্রমেই যানজটের শহরে পরিণত হচ্ছে। শহরের অলিগলিতে এসব যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে নিত্যদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো ধরনের নিয়ম-কানুন মানছে না অটোরিকশা চালকরা। দিন দিন এসব যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং যত্রতত্র চলাচল করায় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ফলে পথচারী, শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুরা প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০-১২ বছরের কিশোর ও অনভিজ্ঞ চালকরা এসব অটোরিকশা চালিয়ে শহরের অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এদিকে পৌর শহরের সড়কবাজার, মায়াবি সিনেমা হল, দুতলা মসজিদ, পৌরসভা, ঢাকা হোটেল, রেলওয়ে স্টেশন চত্বর, লালবাজার ও বাইপাস এলাকায় যত্রতত্রভাবে এসব অটোরিকশা রাখা হয়। যাত্রী উঠানামার সময় সড়কের প্রায় অর্ধেক দখল হয়ে যায়, ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। তা ছাড়া এসব যানবাহনে লাগানো হাইড্রোলিক হর্নের শব্দে বাড়ছে শব্দদূষণ। শহরের ফুটপাত দখল করে ফলের দোকান ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের মোটরসাইকেল রাখার কারণে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পথচারী মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘এখন অটোরিকশার জন্য রাস্তায় হাঁটাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। একটু অসতর্ক হলেই তারা গায়ের ওপর উঠে আসে। আখাউড়া এমনিতেই ছোট শহর। এখন যানজটে পাঁচ মিনিটের রাস্তা যেতে ১৫ মিনিট লেগে যায়। এতে অনেক সময় ট্রেনও মিস করতে হয়।’ অটোরিকশা চালক মানিক বলেন, ‘চার বছর ধরে চালাচ্ছি। কিন্তু গত এক বছরে গাড়ির সংখ্যা এমনভাবে বেড়েছে যে, আয় আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। পরিবারের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েই অটোরিকশা চালাচ্ছি। চালক মো. ইকবাল বলেন, ‘বিদেশ থেকে ফিরে জীবিকার তাগিদে অটোরিকশা কিনে চালাচ্ছি। কিন্তু এখন গাড়ির সংখ্যা এত বেড়েছে যে, আয় টিকছে না।’ আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন বলেন, ‘শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত কাজ করছে। তবে সচেতনতা ও পৌর প্রশাসনের সহযোগিতাও জরুরি।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন