খুলনার পাইকগাছায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পেটে লাথি দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তার গর্ভের শিশু মারা গেছে। গত শনিবার বিকেল ৬টার দিকে উপজেলার ৫নং সোলাদানা ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া (জামাইপাড়া) এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগম (৪৫) পাইকগাছা থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভূমিহীন পরিবারগুলোর ওপর দমননীতি চালাচ্ছে। ঘটনার দিন আসামী ইয়াসিন আরাফাত (২০), নয়ন মোড়ল (২২), তরুণ মুনি (২৩) ও আরও কয়েকজন রাজিয়ার বাড়ির সামনে এসে অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করে। প্রতিবাদ করলে ইয়াসিন আরাফাত শাপলা খাতুনের (তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা) পেটে লাথি মারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯৯৯ কল করার পর পাইকগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আহত শাপলাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার গর্ভের শিশু মারা যায়।
হামলাকারীরা শাপলার স্বামী শেখ আলী হোসেনকেও পিটিয়ে জখম করেছে এবং ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি বিছানার নিচে রাখা ৫০ হাজার টাকা লুট করা হয়।
বাদী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘আমার পুত্রবধূর গর্ভের সন্তানকে তারা হত্যা করেছে। এটা শুধু হামলা নয়, এটা নৃশংস হত্যা। আমি আমার সন্তানের রক্তের বিচার চাই।’
পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সঞ্জয় কুমার ম-ল জানান, ফিজিক্যাল অ্যাসিডে ভর্তি করা হয়েছিল এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হলে গর্ভের শিশু মারা গেছে। তিনি জানান, পেটে আঘাতের কারণে শিশু নষ্ট হতে পারে। পাইকগাছা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন