সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

পৌরসভা কার্যালয়ের সামনেই ময়লার ভাগাড়

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

পৌরসভা কার্যালয়ের  সামনেই ময়লার ভাগাড়

ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভা কার্যালয়ের সামনেই বাইপাস সড়কের পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে গড়ে উঠেছে বিশাল ময়লার ভাগাড়। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে এনে এখানেই বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ফলে পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তীব্র দুর্গন্ধ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, বিপন্ন হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়কের পাশে পৌর কার্যালয়ের সামনে এমন একটি বর্জ্য ভাগাড় থাকা শুধু অস্বাস্থ্যকরই নয়, বরং এটি পুরো মহেশপুর পৌরসভার সৌন্দর্য ও ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে বর্জ্য অপসারণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের বাইপাস সড়কের ধারে জমে আছে নানান ধরনের বর্জ্যÑ পচা সবজি, পলিথিন, নোংরা কাপড়, এমনকি হাসপাতালের বর্জ্যও। এসব আবর্জনা থেকে নির্গত দুর্গন্ধে হাঁটাচলা করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সকাল ও দুপুরে যখন স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষদের চলাচল বেড়ে যায়, তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

পথচারী আহসান হাবীব বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলে নাক-মুখ চেপে ধরতে হয়। অনেক সময় বমি চলে আসে। একটু বাতাস বইলেই দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’

অটোরিকশা-চালক আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘ময়লার ভাগাড়ে সারা দিন কুকুর-বিড়াল-কাকের ভিড় লেগেই থাকে। তারা ময়লা ছড়িয়ে দেয় রাস্তায়। রাতে অন্ধকারে এসবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। বৃষ্টির সময় তো রাস্তা একেবারে নোংরা পানিতে ডুবে যায়।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এখানেই বর্জ্য ফেলে আসছে। আগে এটি ছিল নদীপাড়ের ফাঁকা জায়গা, এখন তা রূপ নিয়েছে ময়লার স্তূপে। পচা বর্জ্যরে রস ও নোংরা পানি ধীরে ধীরে কপোতাক্ষ নদে মিশে যাচ্ছে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।

স্থানীয় স্কুলছাত্রী সাদিয়া আক্তার বলেন, আমরা স্কুলে যেতে এই রাস্তা দিয়েই যাই। প্রতিদিনই নাক চেপে দৌড়ে পার হতে হয়। বৃষ্টি হলে আরও খারাপ অবস্থা হয়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনবসতির এত কাছাকাছি বর্জ্য ফেলা পরিবেশের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। এতে শুধু দুর্গন্ধই নয়, নানা রোগ-জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কাও থাকে। দীর্ঘমেয়াদে এটি স্থানীয় জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হতে পারে।

মহেশপুর পৌরসভা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার বলেন, আমাদের পৌর এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নেই। এ কারণে আপাতত ওই স্থানে বর্জ্য রাখা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে একটি স্থায়ী জায়গা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। খুব শিগগিরই বিকল্প স্থান নির্ধারণ করে এই সমস্যা সমাধান করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!