ঢাকা রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

সড়কজুড়ে ধান-খড় শুকানোর ধুম বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০১:২৮ এএম

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়ক দখল করে ধান ও খড় শুকাচ্ছেন স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণীরা। এতে সড়কে ছড়িয়ে পড়ছে খড় ও ধানের তুষ। যানবাহনচালকদের দাবি, শুকনো বা ভেজা খড়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে চাকা স্লিপ করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে, চলতি আমন মৌসুমের ধান ও অন্য ফসল কাটা-মাড়াই চলছে। মাড়াইকৃত ধান বা খড় পাশের সড়কের শুকাতে দেওয়া হয়েছে। এতে ট্রাক, মিনিবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক-চালকদের বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

একাধিক যানবাহনের চালক আক্ষেপ করে বলেন, সড়কে ধান শুকানোর প্রবণতা প্রতি বছরই বাড়ছে। খড়ের ওপর ব্রেক করলে চাকা পিছলে যায়, বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের জন্য এটি বেশি বিপজ্জনক।

উপজেলার ঝিটকা শিকদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলী বলেন, রাস্তায় ধান শুকানোর কারণে প্রায়ই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। খড়ের ওপর ব্রেক করলেই চাকা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

মোটরসাইকেলচালক নিরব খান বলেন, প্রতিদিনই খড় লম্বা এবং নরম হওয়ায় মোটরসাইকেলের চেইন ও চাকার সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। এতে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না করলে সড়কে ধান-খড় শুকানের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

অন্যদিকে স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণিরা বলছেন, বাড়িতে ধান শুকানোর পর্যাপ্ত জায়গা নেই। পাকা কোন জায়গা পাওয়া যায় না। সড়কে রোদ ভালো পাওয়া যায় এবং দ্রুত শুকায়। তা ছাড়া গাড়ির চাকার চাপেও ধান মাড়াইয়ে সুবিধা হয় বলে দাবি তাদের।

এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সড়কে ধান-খড় শুকানোর বিষয়ে কৃষকদের নিয়মিত সচেতন করা হচ্ছে। এরপরও সমাধান না হলে জনস্বার্থে অভিযান পরিচালনা ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।