ঢাকা সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

দাউদকান্দিতে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০১:৫৪ এএম

শীতকালীন শাক-সবজি চাষে ব্যস্ত কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কৃষকেরা। ইতিমধ্যে উপজেলার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে বাজারে শাক-সবজির দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। ফলে চড়া দামে চারা কিনলেও বেশি দাম পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পালংশাক, বেগুন, শিম, বরবটিসহ বিভিন্ন শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। উপজেলার তালতুলি, চেঙ্গাকান্দি ও কদমতলী মোহাম্মদপুর, জিংলাতলি ও সুন্দলপুর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা শীতের সবজি খেতে কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ কীটনাশক দিচ্ছেন। বেড়ে উঠছে শাক-সবজির চারা। অনেকেই ইতিমধ্যে মুলা, মুলা শাক, লাউ ও লালশাক বিক্রি শুরু করেছেন। তালতলি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, গত বছর ৪ হাজার ফুলকপির চারা কিনেছি ১ হাজার ৪০০ টাকায়। এ বছর এক হাজার চারার দাম ২ হাজার টাকা। ৪ হাজার চারা কিনেছি ৮ হাজার টাকা দিয়ে। আলমগীর আরও বলেন, প্রতিবছর তিন-চার কানি জমিতে সবজি চাষ করতাম। এ বছর সার ও বীজের দাম বেশি হওয়ায় ৩১ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। তবে বাজারে এ বছর সবজির দাম অনেক বেশি। আশা করি চাষাবাদের খরচ উঠবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, এ বছর  শীতের শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে টমেটো ১২০ হেক্টর, লাউ ৭০ হেক্টর, লালশাক ৫০ হেক্টর, মুলা ৩৫ হেক্টর, বেগুন ১৫ হেক্টর ও শিম ৭০ হেক্টর। এ ছাড়া ১৪ হাজার ৭ শত ৬০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলাদি আবাদ করা হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে শাক-সবজি চাষের ওপর কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আমরা সহযোগিতা করে আসছি। যারা বসতবাড়িতে শাক-সবজি চাষ করেন, তাদের আমরা সার, বীজসহ আনুষঙ্গিক সহযোগিতা দিচ্ছি।