ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ধরলা নদীতে তীব্র ভাঙন বিলীন ফসলি জমি

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৫৩ এএম

লালমনিরহাটে ধরলা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করলেও তাতে খুব একটা কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে না। নদীর স্রোত ও বাতাসের চাপের কারণে জিও ব্যাগও তলিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরলা নদীর দুই তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শিবেরকুটি, বাসুরিয়া, কুরুল, ফলিমারীসহ অন্তত ১০ গ্রামের আবাদি জমি, বসতভিটা ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আরও শতাধিক বাড়িঘর। প্রায় ১১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ ভাঙন বিস্তৃত হয়েছে।

নদীপাড়ের বাসিন্দা শামসুর রহমান ও এনামুল হক জানান, ভাঙনে তাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীতে চলে গেছে। ইতোমধ্যে পাঁচবার করে বাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে। এখন সড়কের ধারেই বসবাস করছেন তারা। কিন্তু ভাঙন থামছে না। অস্থায়ী জিও ব্যাগের কাজ কার্যকর না হওয়ায় ২০ হাজার মানুষ এখন চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন।

ধরলা পাড়ের বৃদ্ধা হাজেরা বেওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘লম্বা সময় ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা শুনি, কিন্তু বাস্তবায়ন দেখি না। আমাদের জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ত্রাণ নয়, স্থায়ী সমাধান চাই। নদী খনন আর স্থায়ী বাঁধ হলে আমরা বাঁচব।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভাঙনকবলিত ১১ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী কাজের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। স্থানীয়দের দাবি, অস্থায়ী নয়, দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে জমি, বাড়িঘর ও স্থাপনা রক্ষা করতে হবে।