ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

শীত বাড়ার সঙ্গে ভিড় বাড়ছে লেপ-তোশকের দোকানে

মুকুল চট্টোপাধ্যায়, দিনাজপুর
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৭:০৬ এএম

দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে শীত বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে শীত নিবারণে লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

কারিগররা জানান, দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেকে পুরোনো লেপ এনে নতুনভাবে তৈরি করে নিচ্ছেন। আবার অনেকে নতুন লেপ-তোশক বানানোর অর্ডার দিচ্ছেন। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।

ক্রেতা ও দোকান মালিকরা জানান, এবার খরচ বেড়েছে। লেপ-তোশক ও জাজিমে প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া জেলা, উপজেলার হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া-মহল্লা ও শহরের অলি-গলিতে শোনা যাচ্ছে লেপ-তোশক ও জাজিম বিক্রেতাদের হাঁকডাক।

শহরের মালদহপট্টি গরুহাটিতে লেপ তৈরি করতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, গত বছর একটি লেপ তৈরি করেছিলাম ১১০০ টাকায়, এবার সেই সাইজের লেপ তৈরি করতে ১৫০০ টাকা দিতে হলো। সব কিছুর দাম বাড়তি।

সদর উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের বাঁশেরহাট হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে লেপ-তোশক তৈরির দোকানের কারিগর মো. মজিবুর রহমান বলেন, এবার লেপ-তোশক ও জাজিম তৈরিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি বেড়েছে। তাছাড়া কাপড়, তুলা, সুতা সব কিছুর দাম বেড়েছে। তাই খরচও বেড়েছে।

দিনাজপুর শহরের ৭ নম্বর পানির ট্যাংকের মোড়ে ফেরদৌস বেডিং হাউজের মালিক মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতে ক্রেতারা নতুন লেপ-তোশক কিনছেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে গুণগত মান বজায় রেখে রেডিমেট জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করছি। আবার অর্ডার নিয়েও তৈরি করে দিচ্ছি। অনেকে আবার পুরোনো লেপ-তোশক নতুন করে ঠিক করে নিচ্ছেন। তবে কারিগরের মজুরিসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ বছর লেপ-তোশক, জাজিম, বালিশ তৈরিতে ব্যয় আগের তুলনায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।