ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

কোয়াব নয়, তামিমের চোখ বিসিবি নির্বাচনে!

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
তামিম

আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হবে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন। এই নির্বাচন সামনে রেখে আলোচনা ডালপালা মেলেছিল যে, কোয়াবের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হতে পারেন তামিম ইকবাল খান। কিন্তু কোয়াবের নির্বাচনে দাঁড়াতে আগ্রহী নন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের দিকেই চোখ তামিমের! যদিও এখনো বিসিবি নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেননি এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তবে বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে তার নামও অনেক জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। কারণ, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে বেশ সুসম্পর্ক তামিমের, যা গত বছর সরকারের পট পরিবর্তনের পরপরই বিষয়টি দৃশ্যমান হয়েছে। তা ছাড়া ঢাকার ৭২টি ক্লাবের একটা বড় অংশও তামিমের পাশে রয়েছে। পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সমর্থনও পাবেন তামিম। ফলে বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিলে প্রবল প্রার্থী হয়ে উঠবেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার।

সূত্রে জানা যায়, কোয়াবের সভাপতি হিসেবে তামিমকে পাওয়ার আশা করছিলেন অনেক ক্রিকেটার। কিন্তু আরও বড় দায়িত্ব নিতে চান তামিম। কোয়াবের নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক ক্রিকেটার এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করলেন, ক্রিকেটারদের সংগঠনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তামিম। তাই তার পক্ষে কোনো পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করারও প্রশ্ন আসে না। ওই ক্রিকেটার আরও জানান, তামিমের লক্ষ্য আরও বড় কিছু করার। অর্থাৎ, সামনে বিসিবি নির্বাচনে যে তামিম প্রার্থী হবেন, তা অনেকটাই পরিষ্কার। তবে প্রশ্ন হতে পারেÑ কীভাবে ক্রিকেট বোর্ডে নেতৃত্বে আসতে পারেন তামিম? দুটি প্রক্রিয়ায় বিসিবির পরিচালনা পর্যদে আসতে পারেন এই ক্রিকেটার। প্রথমটি হলো, কাউন্সিলর হয়ে পরিচালক পদে নির্বাচন করে ভোটের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে পারেন তামিম। দ্বিতীয়টি হলো, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বিসিবির পরিচালক হওয়া। যেভাবে সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিসিবির পরিচালক হয়েছেন। তবে কোন পথ অনুসরণ করবেন তামিম, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

তামিম অংশ না নেওয়ায় কোয়াবের নির্বাচনে নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে আগেই। নতুন করে গঠিত হতে যাওয়া কমিটিতে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহসভাপতি, একজন সহসভাপতি এবং আটজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদ রয়েছে। গতকাল ছিল কোয়াবের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। তামিম না থাকায় কোয়াবের বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ ও মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ার কথা জানা গেছে। এ ছাড়া সহসভাপতি পদে ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তবে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোয়াবের নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা সরে গেছেন। দুই শতাধিক ভোটার কোয়াবের নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করবেন। কোয়াবের সাধারণ সদস্যের বিষয়ে তিন ধরনের ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। প্রথমে রাখা হয়েছে আজীবন সদস্যপদ ক্যাটাগরি, যেখানে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়েরা ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই সদস্যপদ নিতে পারবেন।

আর জাতীয় দলের বাইরের খেলোয়াড়দের গুনতে হবে ১ লাখ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে যারা থাকবেন, তাদের বাৎসরিক ফি দেওয়া লাগবে না এবং পূর্ণ ভোটের অধিকার দেওয়া হবে। দ্বিতীয় স্থায়ী সদস্যপদ। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ অথবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলেছেন এমন ক্রিকেটাররা ৫ হাজার টাকা দিয়ে এই সদস্যপদ নিতে পারবেন। এই ক্যাটাগরির সদস্যদের বাৎসরিক ফি দেওয়া লাগবে। এর বাইরে রয়েছে সহযোগী সদস্যপদ। এই ক্যাটাগরির জন্য ২ হাজার টাকা ফি ও বাৎসরিক ফি ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই সদস্যরা ভোটের অধিকার পাবেন না।