ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কাউকে আকাশে তুইলেন না: সালাউদ্দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৭:২৩ এএম
টি-টোয়েন্টি

প্রায় দুই বছর পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন সাইফ হাসান। ফিরেই ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ঝলক দেখালেন তিনি। তার মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আদর্শ এক খেলোয়াড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে পা রেখেছিলেন এই তরুণ। তবে সময়ের পরিক্রমায় নিজেকে বদলে ফেলেছেন সাইফ। এই ক্রিকেটারের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের প্রধান সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, কাউকে আকাশে তুইলেন না। আবার নিচে নামাইয়েন না।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অফ স্পিনে ১৮ রানে ২ উইকেট নেন সাইফ। পরে রান তাড়ায় চারে নেমে ১৯ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর মধ্যে মেরেছেন তিনটি বিশাল ছয়। তার খেলার ধরন ও শরীরী ভাষা নজর কেড়েছে সবার। সাইফ দেশের ক্রিকেটে দীর্ঘ পরিসরের ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। টেস্টে দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিজেকে সাদা বলের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলেন তিনি। প্রত্যাবর্তনে নজর কেড়ে নিজের কুড়ি ওভারের স্কোয়াডে থাকার সার্থকতা প্রমাণ করছেন তিনি। সালাউদ্দিন সাইফের পরিশ্রম ও ধৈর্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেও বাড়তি হাইপ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন,  ‘আমি আগেও অনুরোধ করেছি যে একবার কাউকে খুব তাড়াতাড়ি আকাশে তুলে ফেলবেন না, কাউকে তাড়াতাড়ি নিচেও নামাবেন না।  ভালো খেলেছে,  কামব্যাক করেছে যে, এটা আসলে শক্ত মানসিকতার একটা পরিচয়।  যেকোনো মানুষ যখন ব্যাকফুটে চলে যাবে, সেখান থেকে সবাই আসলে বেরিয়ে আসতে পারে না।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই কঠিন চ্যালেঞ্জের পর খানিকটা হারিয়ে যাওয়া, আড়ালে পড়ে থাকা, এরপর ঘুরে দাঁড়ানো, নিজেকে গড়ে তোলা সহজ নয় মনে করেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘একটা সময় সে ছিল টেস্ট প্লেয়ার, সেখান থেকে সে বেরিয়ে এসে যে ক্যারেক্টার শো করেছে, এটা আসলে সবার ভেতরে থাকে না। উন্নতি তো চালিয়ে নিতে হবে, তার চেষ্টাটা ছিল। আসলে খেলোয়াড় নিজেই চেষ্টা করেছে। সে নিজেকে অন্য জায়গায় দেখতে চেয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার প্রথম ছয়-সাতটা ম্যাচে সে ফেল করেছে। সেখান থেকে মেন্টালি আবার ঘুরে দাঁড়ানোÑ এটা আসলে কঠিন কাজ।’ সালাউদ্দিনের আশা, সাইফ আরও বড় কিছু করবেন। তিনি বলেন, ‘হয়তো আমরা বাইরে থেকে মনে করি, এটা অনেক সহজ কাজ। কিন্তু বিষয়টা তা না, এটা অনেক কঠিন কাজ। সেই কাজটা সে করেছে, সেটা তার ক্যারেক্টারের ভেতরে ছিল। সে নিজে উন্নতি করার চেষ্টা করেছে। এ কারণে তার আসলে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। গত ম্যাচে যে ক্যারেক্টারটা শো করেছে, সেটা যেন আরো কন্টিনিউ করতে পারে। ওর চেষ্টার কথা বলব যে, অনেক মানুষই চেষ্টা করে, বাট যে ধৈর্যটা আসলে অনেকের হয়তো থাকেÑ এক মাস, দুই মাস বা এক বছর। কিন্তু তার ধৈর্যটা চার বছর ধরে দেখলাম। এটা একটা বড় বিষয় যে আপনি কত দিন ধরে ধৈর্যটা ধরে রাখলেন তার ফল পাচ্ছেন, ভবিষ্যতে হয়তো সে আরো ভালো করবে।’