ভুটান নারী লিগে বাংলাদেশের ফুটবলাররা বাজিমাত করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলো কাড়লেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ভুটান লিগের প্রথম পর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশের এই সফল নারী ফুটবলার। ‘শুভ সকাল পৃথিবী! সবাই উঠে পড়ুন, উঠে পড়ুন’Ñ হাসিমুখের ইমোজিসহ গত রোববার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে ছবি পোস্ট করে এই খুদেবার্তা দেন সাবিনা।
তার এমন উচ্ছ্বসিত হওয়ার কারণ হলো, নারী লিগে দুর্দান্ত সাফল্যময় সময় কাটছে এই ফুটবলারের। একাধিক হ্যাটট্রিকসহ প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই আলো কেড়েছেন তিনি। পারো এফসির জার্সিতে ৯ ম্যাচে করেন ২৬টি গোল। গত বছর নেপালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ শিরোপা জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশে আসার পর মাঠের বাইরে সময়টা ভালো যায়নি সাবিনা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারের। তবে গত এপ্রিলে ভুটানে যাওয়ার পর সময়টা নিঃসন্দেহে উপভোগ করছেন সাফ-জয়ী অধিনায়ক।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল প্রথম বাংলাদেশ থেকে ভুটানের লিগে খেলতে যান সাবিনা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া। এই চারজনের দেখানো পথে এরপর হেঁটেছেন মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুনসহ আরও ১৪ নারী ফুটবলার। ভুটান নারী লিগের ক্লাবের হয়ে সব মিলিয়ে এ বছর খেলেছেন বাংলাদেশের ১৮ ফুটবলার। ১০ দলের লিগের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। ৯ ম্যাচ খেলে পারো এফসির জার্সিতে সাবিনা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন। ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের পাশাপাশি চলমান এই টুর্নামেন্টেই এ পর্যন্ত তার চেয়ে বেশি গোল করতে পারেনি কেউ।
পারোর জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল সুমাইয়া মাতসুশিমার। জাপানিজ কন্যা সুমাইয়া গোল করেছেন ২১টি। ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় প্রথম চারজনই বাংলাদেশি। ঋতুপর্ণা চাকমা ১৫টি আর মনিকা চাকমা করেন ১১টি গোল। বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলারের মিলিত গোল ৭৩টি। পারোর জার্সিতে আর কোনো ফুটবলারের গোলই দুই অঙ্ক ছাড়ায়নি।
ভুটান লিগে বাংলাদেশের ১৮ নারী ফুটবলারের সাতজন খেলছেন পারোতেÑ সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মনিকা, সুমাইয়া, শিউলি আজিম, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার লিপি আক্তার ও নিলুফা ইয়াসমিন নীলা। থিম্পু সিটিতে খেলছেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। মাসুরা পারভীন, রুপনা চাকমা ও কৃষ্ণা খেলছেন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে। তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শাহেদা আক্তার রিপা ও স্বপ্না রানীÑ চারজন ভুটান লিগের দল রয়েল থিম্পু কলেজ এফসির (আরটিসি) হয়ে খেলছেন। ক্লাবটির সঙ্গে আফঈদা খন্দকার চুক্তিবদ্ধ হন কেবল এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ খেলার জন্য।