চলমান ফিফা উইন্ডোতে নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এরই মধ্যে প্রথম প্রীতি ম্যাচে দুই দল গোলশূন্য ড্র করেছে। আজ একই ভেন্যু কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। তবে দুই দলের লড়াইয়ে ম্যাচের ফল কী হবে, না হবেÑ তা নিয়ে নয়, বরং দশরথের মাঠই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সম্প্রতি নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও এএফসি। প্রায় দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচ হয়নি এই মাঠে। ঝুঁকিপূর্ণ মাঠে প্রীতি ম্যাচ হতে বাধা না থাকলেও এখানে খেলে চোটে পড়ার আশঙ্কা থাকবেই। সেটি টের পাওয়া গেছে প্রথম ম্যাচেই। নেপাল ফুটবল ফেডারেশন থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ এই মাঠে খেলতে সম্মতি দিয়েছে বলেই ফিফা আপত্তি জানায়নি। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বললেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, আমাদের ফেডারেশনের কেউই এ মাঠে এসে ভিজিট করেনি এবং আমার জানা মতে, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে অবস্থায় মাঠটা আছে, তাদের কোনো পানি দেওয়ার অটোমেটিক পদ্ধতি নেই। ন্যাচারাল বৃষ্টি আর ম্যানুয়ালি পানি দিয়ে তারা মাঠ ভেজায়।’ অথচ দেশে মানসম্পন্ন মাঠে অনুশীলন আর ম্যাচ খেলতে অভ্যস্ত বাংলাদেশ। দশরথ স্টেডিয়াম নিয়ে অসন্তুষ্টি চেপে রাখেননি ফুটবলার রহমত মিয়া। তিনি জানালেন, ‘মাঠের অবস্থা ভালো না। বাইরে থেকে যেমনটা দেখা যায়, ভেতরটা কিন্তু সেই রকম নয়। মাঠটা ভারি ও ধীরগতির, বড় বড় ঘাস, পাশাপাশি পানিও দেওয়া থাকে না। সাধারণত আমরা দেশে যখন অনুশীলন করি, তার আগে মাঠে পানি দিয়ে নিই।’
এই মাঠেই আজ লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ ও নেপাল। হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমদের না থাকার প্রভাব প্রথম ম্যাচে বোঝা গেছে ভালোভাবে। রহমত মিয়া বলেন, ‘আমাদের মূল দলের অনেকে নেই, তবে গেল চার-পাঁচ বছর ধরে দলের সাথে যারা রয়েছে, তারা সবাই আছে। তবে বিশেষ কয়েকজন যেমনÑ শমিত সোম নেই, হামজা আসতে পারেনি, অনূর্ধ্ব-২৩ দলে কয়েকজন খেলোয়াড়। তবে যারা আছে তারাও কিন্তু লম্বা সময় ধরে দলের সাথে রয়েছে। এই ম্যাচ কিংবা দেশে অনুশীলন ক্যাম্প, সব কিছুর মূল লক্ষ্যই কিন্তু আগামী মাসের হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে। এখান থেকে যদি ভালো ফলাফল নিয়ে যেতে পারি, এটা আমাদের জন্য বুস্ট আপ হবে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে।’