ফিফা প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৬-০ গোলে হারায় পুয়ের্তো রিকোকে। এই ম্যাচে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্টে নতুন রেকর্ড গড়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি। এত দিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করানোর রেকর্ডটি ছিল নেইমারের। ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে ছাড়িয়ে এখন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ড মেসির দখলে। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৬০টি ম্যাচ সতীর্থ দিয়ে গোল করানোর কীর্তি গড়লেন মেসি। নেইমারের অ্যাসিস্ট ৫৯টি। মেসির রেকর্ডের দিন গোলোৎসবে মেতেছে আর্জেন্টিনাও।
শক্তি, সামর্থ্য, ঐতিহ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা পুয়ের্তো রিকো খুব একটা লড়াই করতে পারল না আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। র্যাংকিংয়ে দুই দলের মধ্যে যে বিশাল পার্থক্য, সেটা পরিষ্কার ফুটে উঠল মাঠের খেলায়ও। ইন্টার মিয়ামির মাঠ ফোর্ট লডারডেলের চেইস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টিনার আলেক্সিস মাক আলিস্তের ও লাউতারো মার্তিনেস। একটি গোল করেছেন গন্সালো মন্তিয়েল, অন্যটি আত্মঘাতী। ৬৮ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে ২৪টি শট নেয় আর্জেন্টিনা, এর ১১টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে পুয়ের্তো রিকোর ৫ শটের কেবল ৩টি ছিল লক্ষ্যে। সেগুলো দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আগের ম্যাচে না খেলা অধিনায়ক লিওনেল মেসি এবার খেললেন পুরো ম্যাচই। নিজে জালের দেখা না পেলেও আত্মঘাতী ছাড়া বাকি ৫ গোলে ছিল তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব। তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। জিওভানি লো সেলসোর কাছ থেকে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মাক আলিস্তের। চার মিনিট পর প্রায় ৬০ গজ দূর থেকে আচমকা শটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন লেয়ান্দ্রো আন্তোনেতি। তবে দ্রুত পিছিয়ে গিয়ে লাফ দিয়ে কোনোমতে জাল অক্ষত রাখেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকে পুয়ের্তো রিকোকে চেপে ধরা আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় চতুর্দশ মিনিটে।
লিওনেল মেসির শট ক্রসবারে লেগে ফেরার পর নিকো গন্সালেসের ভলিতে গোলমুখে বল পান মাক আলিস্তের। হেড করে অনায়াসে তিনি খুঁজে নেন জাল। ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গন্সালো মন্তিয়েল। জটলার মধ্য থেকে মেসির দুর্দান্ত দক্ষতায় উঁচু করে বাড়ানো বলে খুব কাছ থেকে ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ৩৬ মিনিটে আবারও জালের দেখা পান মাক আলিস্তের। মেসির ক্রসে গন্সালেসের হেডে গোলমুখে বল পান হোসে মানুয়েল লোপেস। জটলার মধ্য থেকে শট নেওয়া সম্ভব নয় দেখে তিনি খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা মাক আলিস্তেরকে। লিভারপুল মিডফিল্ডারের গতিময় শট যায় ঠিকানায়। বিরতির পর দুটি পরিবর্তন আনে আর্জেন্টিনা। নিকোলাস ওতামেন্দি ও জিওভানি লো সেলসোর জায়গায় নামেন লাউতারো রিভেরো ও আনিবাল মোরেনো। হোসে লোপেসের মতো অভিষেক হলো তাদেরও।