ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে স্থান করে নিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (THE) প্রকাশিত ২০২৬ সালের বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মধ্যে নোবিপ্রবি ১২তম, আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২য় অবস্থানে রয়েছে।
র্যাঙ্কিংয়ে অনুযায়ী, গবেষণার মানে (Research Quality) নোবিপ্রবি বিশ্বে ৭২২তম এবং সার্বিকভাবে ১২০১-১৫০০ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশন জানায়, শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সংখ্যা ও বৈশ্বিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের তালিকায় বিশ্বের ৩ হাজার ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের মোট ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ১৯টি সরাসরি র্যাঙ্কিং এবং বাকি ৯টি রিপোর্টার হিসেবে তালিকায় নাম এসেছে। তবে সবগুলোর অবস্থান ৮০০-এর পরে।
নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও র্যাঙ্কিং সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়ে আবেদন করেছি এবং প্রথমবারেই আশাব্যঞ্জক অবস্থান এসেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।এটা আমাদের শুরু মাত্র। আমাদের স্বপ্ন আরও বড়—বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম পাঁচে এবং আন্তর্জাতিকভাবে শীর্ষ এক হাজারের মধ্যে আসার লক্ষ্য আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান আরও উন্নত করতে আমরা শিক্ষক ও কর্মকর্তা সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অন্তর্ভুক্তির দিকেও মনোযোগ দেব। প্রয়োজনে বিদেশি শিক্ষকদের অনলাইন কোর্সেও যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
এ বিষয়ে নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘এই সফলতা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে আমরা আরও ভালোভাবে কাজ করলে ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে আরও এগিয়ে যেতে পারব। আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণার যথেষ্ট ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাই আমরা গবেষণায় এত ভালো করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে। ইউজিসি যদি শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ দেয়, তবে আমরা মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে আরও সম্মানজনক অবস্থানে যেতে পারব। আমরা QS World Ranking-এও আবেদন করেছি, যা ডিসেম্বরে প্রকাশিত হবে এবং আমরা সেখানেও ভালো অবস্থান পাব বলে আশা করছি।’
শেষে উপাচার্য বলেন, ‘আমি সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং সবাইকে আরও আগ্রহ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’