ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বিশেষ করে কৃষি, রেস্টুরেন্ট, কনস্ট্রাকশন ও হেলথ কেয়ার খাতে বিদেশি স্কিলড ওয়ার্কারের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ইউরোপের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি জব পোর্টালে প্রতিনিয়ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে আবেদনকারীরা সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। তবে এই সুযোগকে ঘিরে বাংলাদেশে কিছু অসাধু দালালচক্র ও এজেন্সি প্রতারণামূলক ভিসা প্রক্রিয়া চালু করেছে।
ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট, মিথ্যা চাকরির কাগজপত্র ও ফেক কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
সৌরশী’র সিইও আহাদুর রহমান সৌরভ এই প্রসঙ্গে বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রকৃত দক্ষ কর্মীর চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু অনেকেই অজ্ঞতা বা ভুল তথ্যের কারণে প্রতারকদের ফাঁদে পড়ছেন। আমরা প্রায়ই দেখি, কেউ লাখ লাখ টাকা খরচ করে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, অথচ তাদের নামে কোনো বৈধ আবেদনই জমা পড়েনি।
তিনি আরও বলেন, যে কেউ চাইলে বৈধ উপায়ে নিজেই আবেদন করতে পারেন। সেনজেন দেশগুলোর অফিসিয়াল পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করে সঠিকভাবে সিভি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করলে ওয়ার্ক ভিসার সুযোগ পাওয়া যায়। এজন্য কোনো এজেন্সিকে টাকা দেওয়া বা ‘গ্যারান্টি ভিসা’র প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করা সম্পূর্ণ ভুল।
সৌরভের পরামর্শ, প্রথম ধাপে নিজের পেশাদার সিভি ও যোগ্যতার প্রমাণপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করা উচিত। এরপর স্বীকৃত ইমিগ্রেশন ল’ ফার্ম বা অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিলে প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ভিসা কখনোই কোনো এজেন্সি গ্যারান্টি দিতে পারে না। কেবল যোগ্যতা, স্বচ্ছ ডকুমেন্ট ও নির্ভুল আবেদনই ইউরোপে বৈধভাবে কাজের সুযোগ এনে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও লাটভিয়াসহ সেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্মুক্ত। তাই বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের এখনই প্রস্তুতি নিয়ে বৈধ উপায়ে আবেদন শুরু করা জরুরি।