ফুটবলারদের মধ্যে আয়ের শীর্ষে আছেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল। ফোর্বস সাময়িকী প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারের তালিকায় ২ নম্বরে আছেন লিওনেল মেসি। সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসরের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো রোনালদোর এ বছরের আয় ২৮ কোটি ইউরো। গত মে মাসে প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেটদের তালিকায় তৃতীয়বারের মতো শীর্ষে জায়গা করে নেন তিনি। কেরিয়ারে হাজার গোলের লক্ষ্যের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী মেসির আয় বছরে ১৩ কোটি।
ইন্টার মিয়ামির ৩৮ বছর বয়সি ফরোয়ার্ডের আয়ের বেশির ভাগই মাঠের বাইরের চুক্তি থেকে আসে। অ্যাডিডাস, লেইস, মাস্টারকার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি আছে মেসির। গত বছর একটি স্পোর্টস ড্রিংকও এনেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদে যোগ দেওয়া ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা ১০ কোটি ৪০ লাখ ইউরো আয় নিয়ে আছেন তিনে। সেরা পাঁচে থাকা অন্য দুজন হলেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে (৯ কোটি ৫০ লাখ ইউরো) ও ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হল্যান্ড (৮ কোটি ইউরো)। এই তালিকায় চমক ইয়ামালের উপস্থিতি। দুর্দান্ত উত্থানে ফুটবল বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আছেন দশম স্থানে।
ফোবর্স বলছে, বিস্ট বাই ড্রে, অ্যাডিডাস, কোনামি এবং পাওয়ারএডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে ইয়ামালের বছরে আয় ৪ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। তার সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে গত মৌসুমে ঘরোয় ট্রেবল জেতা বার্সেলোনা, চুক্তির মেয়াদ ২০৩১ সাল পর্যন্ত। ৬ নম্বরে আছেন রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র (৬ কোটি ইউরো), সাতে লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ (৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো)। সেরা দশে থাকা বাকি দুজন হলেন আল নাসরের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে (৫ কোটি ৪০ লাখ ইউরো) ও রেয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম (৪ কোটি ৪০ লাখ ইউরো)।