চলতি বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে ২০২২ সালে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও ছেড়ে দেন এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান। বর্তমানে শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ৩৮ বছর বয়সি এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সর্বশেষ গত বছরের জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন মুশফিক। ওই সফরে গল টেস্টে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন এই পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান। এবার ১৬ মাস পর ঘরের মাটিতে আবার দেশের জার্সিতে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে তাকে। আগামী নভেম্বরে সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন এই সিরিজ টেস্ট ক্যারিয়ারে অনন্য এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি ক্রিকেটার মুশফিক। আয়ারল্যান্ড সিরিজে ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলার মাইফলক স্পর্শ করবেন তিনি। এরই মধ্যে ৯৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে তার। আর দুটি ম্যাচ খেলতে পারলেই দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবেন মুশফিক। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত মাইলফলকই নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটেও আগে এমন কীর্তি গড়েনি কেউই।
আগামী নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি আগেই ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে ভেন্যুও। ১৯ নভেম্বর থেকে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিই হবে মুশফিকের শততম টেস্ট। এর আগে ১১ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসবে আইরিশরা। যদিও এখনো বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়নি। চলতি সপ্তাহেই টেস্ট দলের অধিনায়ক চূড়ান্ত করার কথা বিসিবির।
মুশফিকের শততম টেস্ট ম্যাচ ঘিরে বড় পরিকল্পনা করছে বিসিবি। বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান, ‘১০০ টেস্ট ম্যাচ খেলা বিরাট অর্জন, আমাদের দেশে এটাই প্রথম হবে এবং এটা সেলিব্রেট করা উচিত। শুধু ক্রিকেট বোর্ড সেলিব্রেট করবে তা নয়, আমি মনে করি, যারা ক্রিকেট অনুসরণ করেন, তারাও সবাই সেলিব্রেট করবেন।’ অবশ্য নতুন মাইফলক স্পর্শ করার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মুশফিকও। দীর্ঘদিনের বিরতির পর জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন এই ক্রিকেটার। নিজের শততম টেস্ট ম্যাচটি রাঙিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তিনি।
এ পর্যন্ত ৯৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১২টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি ফিফটির ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ৩৮.১০ গড়ে ৬ হাজার ৩২৮ রান করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মহাতারকা। টেস্ট ম্যাচ খেলার দিক থেকে মুশফিকের পরই আছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মুমিনুল ৭৩টি ম্যাচ খেলেছেন। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান ৭১টি, তামিম ইকবাল ৭০টি ও মোহাম্মদ আশরাফুল খেলেছেন ৬১টি টেস্ট ম্যাচ। প্রসঙ্গত, দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে চট্টগ্রামে চলে যাবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) আগামী ২৭ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর হবে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচ।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন