আগামী ১৮ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে নেপালের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র করে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। নেপালের করা অতিরিক্ত সময়ের গোলে জিততে না পারার ধাক্কা এখনো সামলে উঠতে পারেনি তারা। সেই আক্ষেপ নিয়েই এখন তারা দৃষ্টি দিচ্ছে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে। ভারতের বিপক্ষে শক্তভাবে ফিরতে চান বলে জানালেন বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার সাদউদ্দিন।
২০১৯ সালে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে গোল করেছিলেন সাদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে করা ছোট ছোট ভুলগুলো ঠিক করতে হবে। ভারতের বিপক্ষে আরও শক্তভাবে ফেরার প্রয়োজন আছে, কারণ ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ আমাদের কাছে ফুটবল ম্যাচের চেয়েও বেশি কিছু।’ গত ম্যাচে পাঁচ বছর পর নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের মাত্র তিন মিনিট দূরে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আবারও গোল হজম সবকিছু করে দেয় এলোমেলোÑ অবশ্য শেষ সময়ে গোল খাওয়া এখন প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবু সাদ উদ্দিন মনে করেন, তারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে গোল খেয়েছেন। অনন্ত তামাংয়ের সমতাসূচক গোলকে তিনি বলেছেন ‘অবিশ্বাস্য’। ২৭ বছর বয়সি সাদ বলেন, ‘আমরা দুর্ভাগ্যবান ছিলাম, কারণ আগের কিছু ম্যাচে, বিশেষ করে হংকংয়ের মাঠেও আমরা সেট পিস ভালোই ডিফেন্ড করেছি। এভাবে জিরো অ্যাঙ্গেল থেকে গোল খেয়ে আমরা এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না এত কঠোর রক্ষণে থেকেও। গোল খেলেই ডিফেন্ডারদের দোষ ধরা হয়, কিন্তু মানুষকে দেখা উচিত কীভাবে গোল খাই।’ ওই গোলে কারো দোষ দেখেন না সাদ উদ্দিন, ‘শেষ মুহূর্তে সবাই সতর্ক ছিল। ওই অ্যাঙ্গেল থেকে গোল খাওয়া আমাদের কাছে এখনো অবিশ্বাস্য লাগে। ওই গোলের জন্য কাউকে দোষ দেওয়া যায় না।’ বসুন্ধরা কিংসের এই ডিফেন্ডার এখন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে, যেটিকে তিনি বলেছেন ‘শুধু ফুটবল ম্যাচ নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু’। প্রথম লেগে গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে গিয়ে ০-০ ড্র করে বাংলাদেশ। ম্যাচটিও তাদের জেতা উচিত ছিল বলে মনে করেন সাদ, ‘ভারতের মাঠে আমরা প্রথম ২০ মিনিটে তিনটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলাম, অথচ ভারত টার্গেটে একটি শটও নিতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা ঘরের মাঠেও ভারতের বিপক্ষে গোলের সুযোগ পাব। আর যদি প্রথম ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে লিড নিতে পারি, তাহলে ভারতই চাপের মধ্যে থাকবে।’

