১১ দলের খেলোয়াড়, কোচ, প্রতিনিধিদের বর্ণিল উপস্থিতি, ছাত্র-ছাত্রীর কলরবে মুখরিত গ্যালারি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের (আইকেএফ) সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি বাহারুল আলম বিপিএম, সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শুরু হলো দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ-২০২৫। ২০১২ সালের ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের আরেকটি আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত সবাই। বৈশ্বিক নারী কাবাডি বিশ্বকাপ প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে বাংলাদেশ, আয়োজকদের প্রস্তুতি ও আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন অভ্যাগতদের সবাই।
মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম মোড়ানো বিশ্বকাপের আয়োজনের পোস্টার, বিলবোর্ডে, নানা স্লোগানে। ‘খেল খেল খেল কাবাডি’- গানের তালে মেতে উঠল গ্যালারি। অতিথিরা বক্তব্য দেওয়ার সময় গ্যালারিতে আসা সমর্থকরা করতালিতে ভরিয়ে রাখলেন চারপাশ। প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘কাবাডি আমাদের কাছে একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু। এটি আমাদের সাহস, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলাদেশিরা এই খেলার সাথে বেড়ে উঠেছে, এবং এখন বিশ্বমঞ্চে। বাংলাদেশে এটি আয়োজন করা একটি স্বপ্ন পূরণের মতো।’ ‘আজ বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গর্বের এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা এখানে দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ-২০২৫ উদ্বোধন করতে এসেছি। উপস্থিত সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের প্রিয় ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা শুধু একটি সম্মানের বিষয় নয়Ñ এটি ক্রীড়া জগতে বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং দৃঢ়তার প্রমাণ।’ বিশেষ অতিথি আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি বলেন, ‘প্রতিটি দলের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাইকে ঢাকায় স্বাগতম। কাবাডি মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করবে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবে বলে আমি আশা করি।
আসুন এই প্রতিযোগিতাকে আমরা স্মরণীয় করে তুলি।’ বক্তব্য পর্ব শেষে স্টেডিয়ামের বাতি নিভিয়ে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলো-আঁধারী আবহে নৃত্যশিল্পীরা আদিবাসী, আধুনিক গানের সাথে ফুটিয়ে তুললেন বাংলাদেশের আবহমান কালের ঐতিহ্য। বাংলাদেশ-উগান্ডা ম্যাচ দিয়ে মাঠের লড়াই শুরুর আগ পর্যন্ত ঢাক-ঢোলের বাদ্যে, বিভু, সমতল, পাহাড়ি নৃত্য উপভোগ করলেন গ্যালারিতে আসা সমর্থকেরা।

