স্প্যানিশ লা লিগায় রিয়াল বেতিসকে ৫-৩ গোলে হারায় বার্সেলোনা। কাতালনাদের রোমাঞ্চকর জয়ের ম্যাচে নায়ক ফেররান তোরেস। হ্যাটট্রিক উপহার দেন তিনি। এই জয়ে লা লিগার শীর্ষস্থান সুসংহত করল কোচ হান্সি ফ্লিকের দল। খেলার শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে প্রথমার্ধেই ৪ গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল বার্সা। বিরতির পর দুই দলের জালেই গেল বল। রিয়াল বেতিসকে অনায়াসে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করল তোরেসরা। আন্তোনির গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দুই মিনিটের মধ্যে ২ গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন তোরেস। কাতালান দলটির জার্সিতে রুনি বার্দগি প্রথম গোলের দেখা পাওয়ার পর প্রথমার্ধেই তোরেস পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান লামিনে ইয়ামাল। শেষ দিকে ২ গোল শোধ করতে পারে বেতিস। ১৬ ম্যাচে ১৩ জয় ও ১ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৪০। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের সমান ১৫ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে রিয়াল বেতিস।
বল দখলে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা গোলের জন্য ১৬টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৮টি। বেতিসের ১৭ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল। ম্যাচের ৬ মিনিটেই বার্সেলোনাকে চমকে দেয় বেতিস। কাছ থেকে শটে গোল করে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আন্তোনি। জবাব দিতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি বার্সেলোনার। ১১ ও ১৩ মিনিটে বেতিসের জালে বল পাঠান তোরেস। ২টি গোলই আসে একই রকম আক্রমণ থেকে। বাঁ দিক থেকে জুল কুন্দের পাসে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে শটে সমতায় ফেরান তোরেস। বাঁ দিক থেকেই বার্দগির ক্রসে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে ভলিতে দলকে এগিয়ে নেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ৩১ মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান বাড়ান বার্দগি। পেদ্রির থ্রু বল ধরে প্রতিপক্ষের একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২০ বছর বয়সি উইঙ্গার। ৪০ মিনিটে হ্যাটট্রিকের আনন্দে মাতেন তোরেস। বক্সের বাইরে থেকে তার শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তোরেসের ক্যারিয়ারের তৃতীয় হ্যাটট্রিক এটি, বার্সেলোনার জার্সিতে দ্বিতীয়। এই ক্লাবের হয়ে আগের হ্যাটট্রিকটিও করেছিলেন বেতিসের বিপক্ষে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দলের ৪-২ গোলে জয়ের ম্যাচে। ৫৯ মিনিটে ঠান্ডা মাথার স্পট কিকে দলের পঞ্চম গোলটি করেন ইয়ামাল। হ্যান্ডবলের জন্য মনিটরে দেখে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। তার সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য আপত্তি জানান বেতিসের খেলোয়াড়েরা।
বক্সে মার্কাস র্যাশফোর্ডের শট ডিফেন্ডার মার্ক বার্ত্রার পায়ে লেগে হাতে লেগেছিল। বাকি সময়ে চলতে থাকে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মেরে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারান র্যাশফোর্ড। ৮৫ মিনিটে কাছ থেকে শটে ব্যবধান কমান দিয়েগো ইয়োরেন্তে। আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্পট কিকে বেতিসের তৃতীয় গোলটি করেন চুচো এর্নান্দেস। কুন্দে বক্সে আব্দেকে ফেলে দিলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন