সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের সাফল্য আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বহরে থাকা এই যুদ্ধবিমান একাধিক ভারতীয় যুদ্ধবিমান, বিশেষত ফ্রান্সের তৈরি বিশ্বখ্যাত রাফাল ফাইটার জেট ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। ঘটে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও।
সীমান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে শুরু হওয়া সংঘর্ষ দ্রুত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে আকাশযুদ্ধে রূপ নেয়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ও আগ্রাসী কৌশলে ব্যবহার করা হয় চীনের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-১০সি, যা পিএল-১৫ লং-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে রাফালও রয়েছে।
এই দাবির সত্যতা যাচাই করে ফ্রান্স এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, দুইটি ভারতীয় বিমান নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হয়েছে, যার একটি যে রাফাল ছিল এবং তা প্রমাণিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পিএল-১৫ মিসাইলের রেঞ্জ ও সক্রিয় রাডার হোমিং প্রযুক্তি ভারতের রাফালের মতো পশ্চিমা প্রযুক্তির বিমানগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
কৌশলগত সাফল্য না কি প্রচারযুদ্ধ
যদিও পাকিস্তান ও চীন তাদের যুদ্ধবিমানের সাফল্য ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। তবে, তবে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) এখনো কোনো যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করেনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘পাকিস্তান ও তাদের মিত্র চীনের তরফ থেকে ছড়ানো ভুয়া খবর ভারতীয় মনোবল নষ্ট করতে পারবে না।’
তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তব তথ্য ও সংঘর্ষে ব্যবহৃত প্রযুক্তি থেকে বোঝা যায় যে জে-১০সি তার প্রথম বড় আকারের যুদ্ধপরীক্ষায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এতে করে চীনা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
চীনা প্রযুক্তির উত্থান
বিশ্লেষকরা বলছেন, জে-১০সি-এর সাফল্য চীনা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এটি শুধু পাকিস্তানের জন্য নয়, বিশ্বের অন্যান্য চীন-মিত্র দেশগুলোর সামরিক নীতিতেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে চীনের জে-১০সি যুদ্ধবিমান রাফালের বিরুদ্ধে কৌশলগতভাবে এগিয়ে থাকতে পেরেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে এশিয়ার আকাশযুদ্ধে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে যেখানে চীনা প্রযুক্তিও এখন বড় খেলোয়াড়।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
আপনার মতামত লিখুন :