বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মনিরুজ্জামান মনির, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

টাঙ্গাইলের সেই আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজের উদ্বোধন

মনিরুজ্জামান মনির, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

টাঙ্গাইলের সেই আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজের উদ্বোধন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অবশেষে টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর উপর  সেই আলোচিত ব্রীজটির শুভ  উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে ব্রীজটির শুভ উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এ সময় টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ টাঙ্গাইল পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, লৌহজং নদীর উপর বেড়াডোমা এলাকায় এখানে স্টীলের টানা ব্রীজ ছিলো। অতিরিক্ত ভারী মালবাহী যানবাহন চলাচল করার কারনে ব্রীজটির বেহাল দশা হয়ে পরে এবং রড ভর্তি ভারী ট্রাকসহ ব্রীজটি ভেঙ্গে পরে। প্রতিদিন টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই ব্রীজ পারাপার হয়ে যাতায়াত করে। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার ফলে পশ্চিমাঞ্চলের সাথে টাঙ্গাইল শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় এবং চরম ভোগান্তিতে পরে এই ব্রীজ পারাপার হয়ে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষেরা।  যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে দক্ষিনে দিঘুলিয়া ও কাগমারী ব্রীজ এবং উত্তরে স্টেডিয়ামের পাশের ব্রীজ ও হাউজিং মাঠ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হতো।

টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪১.৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্রিকস অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড অ্যান্ড দ্য নির্মিতি (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর চুক্তি হয়। তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর।

কিন্তু পৌরসভার নির্দেশ না মেনে সাব ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছামত  নির্মান কাজ করে।  ছয় মাসের মাথায় ব্রীজটির মুল কাঠামো দৃশ্যমান হলেও নির্মানাধীন ব্রীজটি দেবে যায়।এঘটনায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়। 

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টস মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে টাঙ্গাইল তথা সারাদেশে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

পরে ঠিকাদার নিজ অর্থায়নে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করলে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট পুনরায় নির্মান কাজ শুরু হয়। এতে নতুন করে সরকারের কোন আর্থিক ক্ষতি হয়নি। ব্রীজটি উদ্বোধনের ফলে টাঙ্গাইলে পশ্চিমাঞ্চলের সাথে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হলো বলে মনে করেন সকলে।

আরবি/জেডআর

Link copied!