বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীর জুলাই মাসের বেতন সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি বাজেট শাখার অনুমোদন শেষে পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
এরপরই নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেতন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ইএমআইএস সেলের প্রোগ্রামার-৫ মো. জহির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসের বেতন দ্রুত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রশাসন শাখা থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।’
শিক্ষকরা কবে নাগাদ বেতন পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জহির উদ্দিন জানান, ‘যদি সব ঠিকভাবে হয় এবং সময়মতো অনুমোদন আসে, তাহলে ৪ আগস্টের মধ্যেই শিক্ষক-কর্মচারীরা ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে বেতন পেয়ে যাবেন।’
ইএমআইএস সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে পাঠানো প্রস্তাবে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮ জন স্কুল পর্যায়ে এবং ৮৭ হাজার ৩৮৯ জন কলেজ পর্যায়ে কর্মরত।
প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন।
ইতোমধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা মে মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। তারা জুন মাসের বেতন পেয়েছেন ১৫ জুলাইয়ের পর। এ অবস্থায় জুলাইয়ের বেতন কবে পাবেন সেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী।
আপনার মতামত লিখুন :