সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আরেকবার ব্যাটিং ব্যর্থতা ফুটে উঠল বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যে ব্যর্থতার প্রদর্শনী দেখালেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা, টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের আগে সেটি এখন মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেট কর্তাদের। ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা থেকে কীভাবে বের হওয়া যায়, সেই উপায় ব্যাটসম্যানদেরই খুঁজতে হবে। এমন মন্তব্যই করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
চট্টগ্রামে মাঠে বসেই বাংলাদেশের ম্যাচ দেখছেন লিপু। ব্যাটিং ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমার চিন্তার সঙ্গে ওদের খেলার ধরন মিলছে না।’ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে আগ্রাসী ব্যাটিং বাংলাদেশের দেখার কথা, সেটি উপহার দিতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘হাতের রেখা দেখার জন্য আতশী কাচ দিয়ে দেখতে হয় নিজের ভাগ্য। ঠিক তেমনি মাঠের ক্রিকেটেও বড় শট খেলার জন্য বিকল্প ভাবনাগুলো সজাগ রাখতে হয়। গায়ের জোর সব সময় কাজে আসে না। বল খেলতে যেমন ভালো ব্যাট সুইং দরকার, তেমনি বল ব্যাটের মাঝে লাগানোটাও গুরুত্বপূর্ণ। এসবে উন্নতি করতে পারলে সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা যাবে।’ প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারা সবাইকে ছুড়ে ফেলাও উপযুক্ত সমাধান মনে করেন না জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। লিপু বলেন, ‘এখন যারা রান পাচ্ছে না, তাদের ছেঁটে ফেলাও সম্ভব নয়। তাদের পেছনে সময় ব্যয় হয়েছে। তাদের জন্য হয়তো আরও কিছুটা সময় থাকবে। তাদের কাউকে কাউকে ইর্মাজিং এশিয়া কাপ খেলতে পাঠাব, যেটা কাতারে হবে। সেখানে নিজেদের ছন্দ পাওয়ার সুযোগ থাকবে। বিপিএল ম্যাচ থাকবে, সেখানে ম্যাচে ভালো করলে সুযোগ থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুযোগ হয়তো থাকবে একাধিক, কিন্তু নিজেদেরই বের হয়ে আসতে হবে সমস্যা থেকে। কোচরা হয়তো অনুশীলনে প্রক্রিয়াটা নিয়ে আলোচনা বা দেখানোর কাজটা করতে পারেন। কিন্তু আসল কাজটাই ক্রিকেটারের হাতে।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ। এ বিশ^কাপের আগে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই বাংলাদেশের সামনে। তাই দলেও বেশি পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। লিপু জানান, ‘সামনের খুব বেশি ম্যাচে বড় কোনো পরিবর্তন দেখার সুযোগও নেই। এত ম্যাচ খেলেও যদি দায়িত্ববোধ আর নিজের শক্তির জায়গা কেউ পড়তে না পারে, সেটা সত্যিই হতাশার। ব্যাটিংয়ে গিয়ে আমরা পরিস্থিতি না বুঝেই তাড়াহুড়া শুরু করি। আমাদের ব্যাটারদের উচিত ছিল উইকেটে গিয়ে ভাবা যে, আমি কোন বলটা কীভাবে খেলব, রান না হলে কোথায় ভুল হচ্ছে। এগুলো নিজেকে প্রশ্ন করলে উত্তর চলে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে ভিডিও অ্যানালিস্টের কাছে যেতে হবে, দেখে বুঝতে হবে, আমি কী করছি এবং কী করা উচিত ছিল। টানা ডট বল খেলতে থাকলে জুটির ব্যাটারকেও কাউন্সেলিং করতে হবে কখনো কখনো। শটস না-ও হতে পারে, কিন্তু স্ট্রাইক রোটেশন হলে চাপ কমে যায় অনেক সময়। জুটিতে একজন সেট ব্যাটার থাকলে অপরজনের ডট বলগুলো পুষিয়ে দিয়েও মাঝেমধ্যে রান তোলা যায়।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন