শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ছে কর্মঘণ্টা!

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। ছবি- সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। ছবি- সংগৃহীত

বিভিন্ন আন্দোলন, দুর্যোগ বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে, শিখন ঘাটতি বাড়ছে। তাই দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ছুটি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। একই সঙ্গে স্কুলগুলোতে কর্মঘণ্টা বাড়ানোরও চিন্তা করছে।

বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে বছরে গড়ে ৭৬ দিন ছুটি দেওয়া হয়। এই ছুটি ১৬ থেকে ২০ দিন কমিয়ে ৫৬ থেকে ৬০ দিনে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আপাতত শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হচ্ছে না। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি ওই দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় ছুটি কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনায় আসে।

সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ছুটি কমানোর প্রস্তাব তোলা হলেও মাউশি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মত দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের মতামত নেওয়া হবে।

অবশ্য এ বছর ছুটি কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না বলেই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা বলেন, সব দপ্তরের মতামত পাওয়ার পর ২০২৬ সালের শিক্ষাপঞ্জি তৈরির সময় এই পরিবর্তন আসতে পারে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্কুলের বার্ষিক ছুটি মোট ৭৬ দিন। আর কলেজের বার্ষিক ছুটি ৭১ দিন। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ছুটি কমাতে চায় সরকার।

বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে ৭৬ দিনের বার্ষিক ছুটির পাশাপাশি ৫২ থেকে ৫৩ দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এর বাইরেও নানা কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে পাঠদানে ঘাটতি তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থীরা পরবর্তী শ্রেণিতে অপ্রস্তুত অবস্থায় অগ্রসর হয়।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মঘণ্টা বাড়ানো নিয়েও ভাবছে সরকার। প্রাথমিকের কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে কর্মঘণ্টা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার গঠিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন পরামর্শক কমিটি ইতোমধ্যে কর্মঘণ্টা বৃদ্ধিসহ নানা সুপারিশ জমা দিয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ।

কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই শিফটে পরিচালিত হয় এবং এসব বিদ্যালয়ে শেখার সময় অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি পূরণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কর্মঘণ্টা বাড়ানো জরুরি।

অন্যদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠনগুলো বিদ্যালয়ের সময়সূচি কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণের দাবি জানায়।

এ বিষয়ে ড. মনজুর আহমেদ দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি দূর করতে ছুটি কমিয়ে কর্মঘণ্টা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দিতে হবে। আমাদের সুপারিশে এসব দিক বিবেচনায় এনেছি। বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ছুটি কমানোর চিন্তাভাবনা চলছে। এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরও সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Shera Lather
Link copied!