সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের চালান নিয়ে দেশের ভেতরে প্রবেশ করার সময় সাংবাদিকতার নাম ব্যবহারকারী এলাকার চিহিৃত চোরাকারবারীদের গডফাদার সাবজল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছেন ২৮ বর্ডার গার্ড বিজিবির সদস্যরা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে বিজিবি চিহিৃত চোরাকারবারী সাবজল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারী সাবজল হোসেন তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের মো. পিয়ার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সাবজল হোসেন সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় একটি শক্তিশালী চোরাকারবারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেন এবং সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর সদ্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পন্থায় প্রায় সময়ই গভীর রাতে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে সীমান্ত পিলার অতিক্রম করে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মরণনাশক মাদকদ্রব্য দেশের ভেতরে এনে এলাকার যুব সমাজকে মাদকাসক্তে পরিণত করেছেন।
এই চোরাকারবারী সাবজল হোসেনের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার পর্যন্ত সাহস পেত না।
সে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ও হুমকি দিতেন।
ঘটনার দিন ভারতীয় অবৈধ কসমেটিকসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য দেশের আনার সময় বিজির সদস্যরা ভারতীয় মালামালসহ তাকে গ্রেপ্তার করলে ও তার সাথে থাকা আরেক চোরাকারবারী আব্দুল কাদির সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে শুক্রবার রাতেই বিজিবি বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের পর শনিবার তাকে সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে আদতালতের বিঞ্জ বিচারক তার জামিন না মুঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি মো. দিলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতেই বিজিবি বাদি হয়ে চোরাকারবারী সাবজল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার সহযোগী আব্দুল কাদিরকে পলাতক আসামি করে তাহিরপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিঞ্জ আদালত তার জামিন না মুঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :