সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ১২:০০ এএম

মা-নানির তালিমে ৯ মাসে হাফেজ কুষ্টিয়ার শিশু আব্দুল্লাহ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ১২:০০ এএম

শিশু মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

শিশু মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

৯ মাসে ৭ বছরের এক শিশু পবিত্র কোরআন শরীফ মুখস্থ্য করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। শিশুটির নাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। সে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মুফতি আবদুল্লাহ আমজাদের ছেলে।

হাফেজ মুহাম্মদের মায়ের নাম আলেমা মাছুমা জান্নাত। তিনি ‘মাছুমা জান্নাত মহিলা মাদরাসা’ নামে নিজ এলাকায় একটি মাদরাসা পরিচালনা করেন। সেখানে মা ও নানির কাছে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হন সাত বছরের শিশু মুহাম্মদ।

শিশু মুহাম্মদের বাবা মুফতি আবদুল্লাহ আমজাদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের পুরো পরিবারই কোরআনের খেদমতের সঙ্গে যুক্ত। মুহাম্মদের মা, নানা-নানি সবাই হাফেজ। আমার স্ত্রীও আমার শাশুড়ির কাছে পড়ে পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছিল।

মুফতি আবদুল্লাহ আরও বলেন, মুহাম্মদ যেটা করেছে, এর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। আমার সন্তান একজন প্রকৃত আলেম ও ইসলামের প্রচারক এবং একজন বিশ্বসেরা হাফেজ হয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে—এমনটাই আমার আশা।

মা-বাবার সঙ্গে শিশু মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

মুহাম্মাদের মা হাফেজা আলেমা মাসুমা জান্নাত বলেন, আমার ছেলে মুহাম্মাদের বয়স যখন আড়াই মাস। তখন সে আল্লাহ আল্লাহ বলা শিখে। ওর সর্বপ্রথম মুখের কথা ছিল আল্লাহ। তখন থেকে আমাদের আগ্রহ হয় যে, হেফজ পড়াব, কোরআনের হাফেজ বানাব।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে চার পারা করে পড়ত ছেলেন মুহাম্মাদ। চার পারা করে পড়ে সম্পূর্ণ করার কারণে আল্লাহর রহমতে মাত্র ৯ মাসে হাফেজ হয়ে যায়।

মুহাম্মাদের নানি হাফেজা আলেমা রাবেয়া বসরী বলেন, ছোট্ট শিশু মুহাম্মাদের মেধা অসাধারণ। মনোযোগ সহকারে পড়লে যেকোনো জিনিস খুব দ্রুত মুখস্থ করে দিতে পারে। মাত্র ৯ মাসে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে হাফেজের গৌরব অর্জন করেছে। 

তিনি বলেন, তাকে বিশ্বজয়ী হাফেজ হিসেবে দেখতে চাই। কোরআনের ধারক-বাহক হিসেবে দেখতে চাই। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ’র জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার। 

Link copied!