কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
শুক্রবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন।
তিনি জানান, ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউপি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহি স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ বহিষ্কারাদেশ প্রদান করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাকে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যুকরণ ও নিজের ইউজার আইডি-পাসওয়ার্ড অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর, সচেতনতার অভাব, দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯- এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী রেজিস্টার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায়। আবু তাহেরকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১১ জুন ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিয়েতনাম যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ হুমায়রা ও শারমিন আক্তার নামের দু’জন রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে।
পরে তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুন কুমিল্লার বিশেষ শাখার (ডিএসবি) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমাম হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন।
মামলার পর ২৭ জুন থানা-পুলিশ হুমায়রা ও শারমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর জানা যায়, উপজেলার চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিমাতলী গ্রামের কাজী শামছুল হকের ছেলে কাজী খবির উদ্দিন ওই দুই নারীর বাবা সেজে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুটি জন্মসনদ তৈরি করেন।
পরে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে ভিয়েতনাম পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :