ঢাকা শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

মমতাজকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তৃতীয় স্বামী

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
মমতাজ বেগম ও ডা. মঈন হাসান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম টানা তিন মাস মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভাইয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেছেন তার ভাই এবারত হোসেন ও তৃতীয় স্বামী ডা. এসএম মঈন হাসান। 

এর আগে সোমবার (১৩ মে) ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে মমতাজকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বর্তমানে তিনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মমতাজের ভাই জানান, গত ৫ আগস্টের পরদিন থেকে টানা তিন মাস সিংগাইরের চরদুর্গাপুর এলাকায় তার বাড়িতে ছিলেন মমতাজ। তিনি ঘর থেকে একবারও বের হননি এবং বাইরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।

এবারত হোসেন জানান, ‘আমার স্ত্রী ও সন্তান ছাড়া পাশের বাড়ির কেউও জানত না যে আপা আমাদের বাড়িতে ছিলেন। ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলেননি, কারো সঙ্গে দেখা করেননি। প্রয়োজনে কেউ যোগাযোগ করত আমার মাধ্যমে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার কড়া নজরদারি ছিল। কোনো আগন্তুক এলে জানিয়ে দেওয়া হতো যে বাড়িতে কেউ নেই।

মমতাজ পরে তার বান্ধবী নিপার মাধ্যমে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন বলে জানান এবারত। মাঝরাতে বোরকা পরে মাইক্রোবাসে করে তিনি সিংগাইর থেকে রাজধানীতে চলে যান। গাড়িটির গ্লাস ছিল কালো রঙের।

এ ছাড়া নিপা ও তার পরিবার মমতাজের দেখভাল করতেন এবং অর্থ সহায়তা দিতেন তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) জুয়েল, এমনটিই দাবি তার ভাইয়ের।

মমতাজের তৃতীয় স্বামী ডা. মঈন হাসান জানান, মমতাজ কিছুদিন তার দ্বিতীয় স্বামী ও সাবেক মেয়র রমজান আলীর মেয়ের মোহাম্মদপুরের বাসাতেও ছিলেন। পরে আবার নিপার ভাড়া করা বাসায় ওঠেন। তবে রমজানের আত্মীয় সানোয়ার হোসেন এ তথ্য অস্বীকার করেছেন।

মঈন হাসান আরও দাবি করেন, মমতাজের মহাখালী ডিওএইচএসের পাঁচতলা বাড়িটি বর্তমানে তার পিএস ও কথিত প্রেমিক জুয়েলের দখলে। জুয়েলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তিন বছর ধরে মমতাজের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই বলেও স্বীকার করেন তার তৃতীয় স্বামী।

এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, ‘আমি এই থানায় মাত্র দুই মাস আগে যোগ দিয়েছি। মমতাজ বেগম আত্মগোপনে ছিলেন কি না, সে সম্পর্কে আমার জানা নেই।’

প্রসঙ্গত, মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।