ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

বরগুনায় বিএনপি-যুবদলের ৭ নেতাকর্মী কারাগারে

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে তিন ইউপি সদস্যসহ বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে কারাগারে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বরগুনায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন ইউপি সদস্যসহ বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আসামিরা আদালতে স্থায়ী জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ইসরাত হোসেন সুমন।

কারাগারে পাঠানো বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন: বরগুনা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এমদাদুল হক মিলন (৪৫), এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিল্টন (৪৪), ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোলায়মান কবির ইউনুস (৪৬), ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আকতারুল হক (৪৫), বিএনপিকর্মী মন্টু মল্লিক (৫০), জামাল মল্লিক (৪৫), প্রিন্স (২৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাইঠা ব্রিজ সংলগ্ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনিরুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মুন্নি বেগম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াসী মতিন বলেন, ‘বাদীর স্বামী মনিরুজ্জামান এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি। তার সঙ্গে আমার মক্কেলদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে এবং এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান। সরকার পতনের দিন দোকানঘরে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে নতুন করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করব।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ইসরাত হোসেন সুমন বলেন, ‘গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর প্রদান করেন। পরে আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’