নোয়াখালীর সদর উপজেলার এক মাদ্রোসাছাত্রীকে (১৭) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসা থেকে চলতি বছর আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।
রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে প্রতারক প্রেমিক।
অভিযুক্ত শুভজিৎ মন্ডল (১৯) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীর সঙ্গে সাতক্ষীরার শুভজিৎ মন্ডল নামে যুবকের ম্যাসেঞ্জারে প্রথম পরিচয় হয়।
এরপর শুভ মন্ডল তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীকালে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়।
ভুক্তভোগী কিশোরী সেখানে থাকা আরেক মেয়ের নম্বর থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করেন। নির্যাতিত কিশোরী বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিকটিম পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করে। একটা ছেলের সঙ্গে টেলিগ্রামে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্কের পরে ভিকটিম ছেলের সঙ্গে নোয়াখালী থেকে চলে যায়। পরে ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর প্রেমিক তার এক বন্ধুর কাছে তাকে দিলে সে আবার তাকে পতিতালয়ে দিয়ে দেয় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তবে ভিকটিম জায়গা চেনে না। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :