রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনিকে ধরতে বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে নগরীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল ভবন ঘেরাও করেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।
তবে অভিযানের মধ্যেই রনি নিজে ফোন করে যুবদলের এক নেতাকে বলেন, ‘এত কষ্ট করছেন, আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। আমাকে খুঁজে লাভ হবে না, পাবেন না।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার পতনের দিন থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তৌরিদ আল মাসুদ রনি। পরে তিনি দেশ ত্যাগ করেন। তার অবস্থান সম্পর্কে ‘গোপন তথ্য’ পেয়ে আজ দুপুরে পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ঘেরাও করে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায়।
এই সময় জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকোকে ফোন করেন যুবলীগ নেতা রনি নিজেই। ফোনে রনি বলেন, ‘ডিকো ভাই, আপনারা এত কষ্ট করছেন! আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে আছি। আমাকে খুঁজে লাভ নেই। সময়মতো নিজেই আত্মসমর্পণ করব।’
জবাবে ডিকো বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আপনি আত্মসমর্পণ করুন। নিজের দায় স্বীকার করুন। আমরা আপনার জন্য দোয়া করি।’
রনি পাল্টা বলেন, ‘আমার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। ভিডিও বা ছবি থাকলে দেখান।’ তখন ডিকো বলেন, ‘রাজশাহীতে অস্ত্রের রাজনীতি আপনার মাধ্যমেই শুরু হয়েছে, ভাইয়া।’ উত্তরে রনি বলেন, ‘বাজে কথা বলবেন না।’ পরে দুজনেই বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিচারক আল্লাহ। সত্য-মিথ্যা তিনিই জানেন।’
এই ফোনালাপের পর অভিযান সমাপ্ত হয় এবং নেতা-কর্মীরা ভবনের সামনে থেকে সরে যান।
পরে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন রনি। তিনি জানান, সরকার পতনের কয়েক মাস পরই তিনি দেশের বাইরে চলে গেছেন। অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই লোকগুলো কখনো সামনাসামনি আসার সাহস দেখায়নি। এখন ফাঁকা মাঠে না জেনে একটা বাড়ি ঘেরাও করেছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই অন্য উদ্দেশ্য আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন সুবিচার নেই। যেদিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বা লিটন ভাই বলবেন, সেদিনই দেশে ফিরব। যদি অন্যায় করে থাকি, তবে সুশাসন ফিরলে বিচার হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই আবার দেখা হবে ইনশা আল্লাহ।’
আপনার মতামত লিখুন :