ব্যবসার পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক উদ্যোগ নিয়ে আশা এনজিও যে ভূমিকা রেখে চলেছে, তা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মিনহাজুর রহমান।
সোমবার সকালে হোটেল দি এলিনাতে আশা চট্টগ্রাম ডিভিশনাল অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের একটি বড় অংশ এখনো দরিদ্রসীমার নিচে বাস করে। চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য মৌলিক সেবায় তারা পিছিয়ে রয়েছে। দেশের উন্নয়নে এনজিওগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশা করি, আশা এনজিও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
আশা চট্টগ্রাম বিভাগের সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী আশা’র চলমান কার্যক্রম তুলে ধরে জানান— আশা-চট্টগ্রাম বিভাগ বর্তমানে ১৫৭টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে ৩ লাখ ২৩ হাজার সদস্যকে ঋণসেবা প্রদান করছে। এ খাতে মোট ঋণ স্থিতি ১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সদস্যদের বীমা দাবির বিপরীতে ৬৭০ জনকে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ, মৃত সদস্যদের দাফন-কাফনের জন্য প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১৭৬ জন সদস্যকে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, ৬৫ জনকে এককালীন অবসর ভাতা হিসেবে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।শীত মৌসুমে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি মাসে ৭ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আশা-চট্টগ্রাম বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার এম এম নাফিজ মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কাশেম ও দৈনিক আমার দেশ–এর আবাসিক সম্পাদক জাহেদুল করিম কচিসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন