শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

কাঁঠালের বিচি বিক্রি করে স্বাবলম্বী শ্রীপুরের তরুণরা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

শ্রীপুর উপজেলার অনেক উদ্যোক্তা কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ ও বাজারজাত করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শ্রীপুর উপজেলার অনেক উদ্যোক্তা কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ ও বাজারজাত করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও নতুন প্রজন্মের কাছে কাঁঠাল নিয়ে আগ্রহ তুলনামূলকভাবে কম। তবে কাঁঠালের বিচি এখন অনেকের কাছেই প্রিয় খাদ্য উপাদানে পরিণত হয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বিচি যেমন শরীরে শক্তি জোগায়, তেমনি হৃদ্‌যন্ত্র, মস্তিষ্ক, অন্ত্র ও পেশির সুস্থতায় সহায়ক। এতে থাকা পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বর্তমানে কাঁঠালের ভরা মৌসুম। এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার অনেক উদ্যোক্তা কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ করে বাজারজাত করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। গ্রাম থেকে বিচি সংগ্রহ করে তা পরিশোধন ও প্রক্রিয়াজাত করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানও।

শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামের কাঁচামাল ও মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী আইনুল হক ও গাজী মাহমুদসহ মোট আটজন ব্যবসায়ী মিলে দলবেঁধে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে বিচি সংগ্রহ করেন, তারপর সেগুলো বাছাই করে পরিষ্কার করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, একটি হাউজে বিচিগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এরপর ভালো বিচিগুলো হুইল পাউডার দিয়ে আরও ধুয়ে নেওয়া হয়। পরে রোদে শুকিয়ে বস্তাভর্তি করে বাজারজাত করা হয়। নষ্ট ও অনুপযুক্ত বিচিগুলো আলাদা করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, আগে শ্রীপুরে কাঁঠালের বিচি গুরুত্ব পেত না। অনেকেই সেগুলো ফেলে দিতেন। এখন বাজারে চাহিদা বাড়ায় মহিলারাও ঘরে কাঁঠালবিচি আলাদা করে সংরক্ষণ করছেন এবং বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করছেন।

ব্যবসায়ী আইনুল হক বলেন, ‘আমরা আটজন ব্যবসায়ী এ ব্যবসা করছি। আমাদের কয়েকজন কর্মীকে টাকাপয়সা দিয়ে গ্রামে পাঠাই বিচি সংগ্রহে। প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন ধোয়া ও বাছাইয়ের কাজ চলে। চার থেকে পাঁচ টন বিচি জমলে সেগুলো একত্রে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে পাঠানো হয়।’

গাজী মাহমুদ বলেন, ‘আগে যেগুলো স্থানীয়রা ফেলে দিত, সেগুলো এখন আমরা কেজি দরে কিনছি। এতে করে তাদেরও লাভ হচ্ছে, আমরাও উপকৃত হচ্ছি। এই বিচি ঢাকার কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করি। বর্তমানে প্রতিকেজি বিচি ১৭-১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, ‘এটা খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান যেমন হচ্ছে তেমনি অপচয় রোধ হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে এই উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’

Shera Lather
Link copied!