শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম

এসএসসির ফলাফলে কুমিল্লা বোর্ডে ভরাডুবি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড। ছবি- সংগৃহীত

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড। ছবি- সংগৃহীত

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের ফলাফলে লক্ষণীয়ভাবে ভরাডুবি ঘটেছে। গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক কমে এসেছে। এছাড়া শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বরাত দিয়ে জানা যায়, এ বছর গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৩.৬০ শতাংশে, যা গত বছরের ৭৯.২৩ শতাংশের তুলনায় প্রায় ১৫.৬৩ শতাংশ পয়েন্ট কম। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন শিক্ষার্থী, যেখানে গত বছর এটি ছিল ১২ হাজার ১০০ জন। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ছিল গত বছর ৯৮টি, এবার মাত্র ২২টি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম ফলাফলের এ অবনতির কারণ হিসেবে করোনাকালের পাঠদান ঘাটতি, নতুন প্রশ্ন কাঠামোর পরিবর্তন এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্বল প্রস্তুতি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখনও পুরোপুরি বইমুখী হতে পারেনি।’

বিভাগভিত্তিক পাসের হার সম্পর্কে তিনি জানান, বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৮.০১ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৪৬.৭৭ শতাংশ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫৩.৯২ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের ফল ভালো হলেও পুরো বোর্ডের ছবি উদ্বেগজনক। নতুন প্রশ্নপত্র কাঠামো ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে শিক্ষার্থীরা সঠিক প্রস্তুতি নিতে পারেনি। অনেকে ক্লাসেও নিয়মিত ছিল না।’

নবাব কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, ‘মেয়েদের ফল তুলনামূলক ভালো হলেও সামগ্রিকভাবে প্রস্তুতির ঘাটতি এবং অভ্যাসের অভাব রয়েছে। অভিভাবকরাও যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে দ্রুত পরিবর্তন জরুরি।’

Shera Lather
Link copied!